× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘দুর্নীতির সঙ্গে এক মিনিটও থাকতে চাই না’

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৪ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা সচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, রিজেন্ট বা জেকেজি যে কেউ হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিদিনই আমরা কোনো না কোনো উদ্যোগ নিচ্ছি। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকে আমরা ছাড় দেবো না। আমি এক মিনিটও দুর্নীতির সঙ্গে থাকতে চাই না। আমরা চাই না কোনো দুর্নীতি হোক। আমরা সবসময় সত্যের সঙ্গে থাকতে চাই। এবং যেখানেই দুর্নীতি করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আমরা যখন তথ্য প্রমাণ পাবো সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন হবে। এটা করছি আমরা।
একটা দিনও বসে নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো সত্য যেন বের হয়ে আসে। আমরা সত্যের সঙ্গেই থাকতে চাই। এবং দুর্নীতি যা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন কিন্তু বসে নেই। তারাও কাজ করছে। আমরাও কিন্তু তথ্য-উপাত্ত দেয়ার চেষ্টা করেছি। তাদের হেল্প করছি। যারা অপরাধ করবে তারা তো অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে। আসা উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই বলেছেন জিরো টলারেন্স। কিন্তু আমাদের তথ্য-উপাত্ত পেতে অনেক সময় বিলম্ব হয়। এগুলো আপনারাই (গণমাধ্যম) সাহায্য করবেন। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) সভা কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন স্বাস্থ্যসেবা সচিব।
তিনি বলেন, করোনার প্রথমদিক থেকেই নারায়ণগঞ্জ হটস্পটে পরিণত হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ কিন্তু এখন একটি পর্যায়ে আসছে। আমার আসার মূল উদ্দেশ্য স্বাস্থ্যসেবা ও করোনা নিয়ে যারা এখানে কাজ করছে তাদের সবার সঙ্গে দেখা করা, তাদের সমস্যাগুলো শোনা, অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যাপ্ত আছে কিনা, ইক্যুইপমেন্টের কোনো ঘাটতি আছে কিনা মোটামুটি সবকিছু মিলিয়েই তাদের মুখ থেকে সবকিছু শোনা। ফ্রন্টলাইনের যে যোদ্ধারা আছে যদি তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ না রাখি তাহলে কাজ করার যে মনোবল সেটাও তাদের থাকে না।
 তাই আমি মনে করেছি সিভিল সার্জনকে ঢাকায় ডেকে সবকিছু শোনা আর নিজে এখানে এসে সব দেখা ও শোনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমার আসার কারণে তারা যাতে একটু মনোবল ফিরে পায় সেটাও একটি উদ্দেশ্য। মোটকথা ইন ডিটেইলস আমরা ওনাদের কাছ থেকে শুনতে এসেছি।
ল্যাবএইডসহ বিভিন্ন যে সব প্রতিষ্ঠান করোনা পরীক্ষার জন্য অনুমোদন পেয়েছে তারা কি শুধু ঢাকাতেই পেয়েছে নাকি সারা দেশে পেয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো ডিজি অফিসের কাজ। এগুলো মন্ত্রণালয় করে না। মহাপরিচালকের অফিস থেকে লাইন ডিরেক্টররা আছে কে কোন্‌ কাজটা দেখবে। তারা নিশ্চয় তাদের কাছ থেকে পারমিশন নিয়েছে। বড় বড় হাসপাতালগুলো যেমন ইউনাইটেড বা ল্যাবএইড এদের সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শাখা থাকে। তো তারা যখন অনুমতি নেবে এক জায়গার জন্য নেবে না। সারা দেশের জন্য নেবে। আমার মনে হয় এরকম কিছু একটা হয়েছে। আর যদি এরকমটা না হয় সেটাও আমরা খোঁজ নেবো। আর তারা যদি করোনা পরীক্ষায় টাকা বেশি নেয় সেই বিষয়টাও আমি সিভিল সার্জনকে বলে দিচ্ছি যাতে করে তিনি সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেন।
তিনি আরো বলেন, আমি শুধু বলতে চাই অপরাধ যারাই করবে সেটা কোন হাসপাতাল বা কে বা কি নাম তা দেখার বিষয় না। একদম সিলগালা করে দেবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম, আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ ইভা প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর