ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভালো চালের সঙ্গে নিম্নমানের চাল মেশানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরাম হাসান খান শ্রমিক দিয়ে খাদ্যগুদামে রাখা ভিজিডির চালের সঙ্গে নিম্নমানের চাল মিশিয়ে বস্তায় ভরছিলেন। গত তিন দিন ধরে খাদ্যগুদামেই এই নিম্নমানের চাল মেশানো হচ্ছিল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে গত রোববার সকাল ১১টায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি সরকারি খাদ্যগুদামের ভালো চালের সঙ্গে নিম্নমানের চাল মিশিয়ে বস্তায় ভরার ঘটনার সত্যতা পান। এ সময় নিম্নমানের ৪২ বস্তা চাল খাদ্যগুদামের ভেতরে ছিল। আরো বেশকিছু নিম্নমানের চালের সঙ্গে ভালো চাল মেশানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহিদার রহমান বলেন, খাদ্যগুদামে কিছু নিম্নমানের চাল পাওয়া গেছে। তবে ওই চাল খাওয়ার অনুপযোগী নয়।
আমি বিষয়টি বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি তারা এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, আলফাডাঙ্গায় কোনো দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। আমি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ইউএনওকে জানাই। ব্যবস্থা নিতে বলেছি। খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরাম হোসেন খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৫০ কেজি বস্তার চাল খুলে ভিজিডির জন্য ৩০ কেজির বস্তা করা হচ্ছিল। স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা চলছে।