× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতের বরফ গলে মিললো ভারতীয় পত্রিকা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জুলাই ১৪, ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন

ষাটের দশকে ফরাসি পর্বত মন্ট ব্লাঙ্কে বিধ্বস্ত হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। এত বছর পর ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই চূড়ার বরফ গলছে। আর তাতেই বের হয়ে এসেছে বিধ্বস্ত ওই বিমানের ধ্বংসাবশেষ। সেদিন বিমানে থাকা কিছু দৈনিক পত্রিকার কাগজও পাওয়া গেছে। বরফের তলায় থাকায় এত বছর পরও অনেকটাই অক্ষত ভারতীয় সেই পত্রিকাগুলো।

একটি পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ছিল ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খবর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩৫০ মিটার বা সাড়ে ৪ হাজার ফুট উঁচুতে একটি ক্যাফে রেস্তোরাঁ চালান টিমোথি মটিন। তিনিই উদ্ধার করেছেন পত্রিকাগুলো।

১৯৬৬ সালের ২৪শে জানুয়ারি সকাল ৮টায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্খের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মৌখিক ভুল যোগাযোগের কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

মারা যায় ১৭৭ জন যাত্রী ও ক্রু। তবে এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে নানা ধরণের জল্পনা-কল্পনা ও ষড়যন্ত্র তত্ব জন্মেছিল সেই জমানায়।

মটিন বলেন, ‘পত্রিকাগুলো এখন শুকানো হচ্ছে তবে বেশ ভালো অবস্থায় পাওয়া গেছে। সহজেই সব পড়া যায়।’ মটিন বলেন, এই পত্রিকা উদ্ধারের ঘটনা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমরা যখনই গ্লেসিয়ারে হাঁটতে যাই বন্ধুদের নিয়ে, ওই বিধ্বস্ত বিমানের কিছু না কিছু ধ্বংসাবশেষ আমরা পাই। অভিজ্ঞতা থাকায় আমরা জানি কোথায় সেগুলো পাওয়া যায়। গ্লেসিয়ার গলার কারণে নিত্যনতুন ধ্বংসাবশেষ মিলে প্রায়ই।

মটিনের ক্যাফে বসন্স গ্লেসিয়ার থেকে হেঁটে মাত্র ৪৫ মিনিটের দূরত্ব। আর সেখানেই রহস্যজনকভাবে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। মজার বিষয় হলো, ওই বিমানের নামও ছিল এক বরফ ঘেঁষা পর্বতশৃঙ্খের নামে: কাঞ্চনঝঙ্ঘা।

মটিন বলেন, তিনি সম্ভবত ভাগ্যবান ছিলেন বলেই ওই কাগজগুলো পেয়েছেন। কারণ তিনি যখন সেখানে গেছেন ঠিক তখনই বরফ গলা শেষ হয়েছিল। নিজের ক্যাফেতে ওই বিধ্বস্ত বিমানের নানা ধ্বংসাবশেষ সাজিয়ে রেখেছেন মটিন। নতুন উদ্ধার হওয়া পত্রিকার পাতাগুলোরও স্থান হবে সেখানে। তার ভাষ্য, অ্যান্টিক হিসেবে লুকিয়ে রেখে পরে বিক্রির চেয়ে এসব ধ্বংসাবশেষ দর্শকদের জন্য সাজানোই ভালো মনে হয়েছে তার কাছে।

২০১২ সাল থেকে মূলত ১৯৬৬ সালের ওই বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যেতে শুরু করে। ২০১২ সালে পাওয়া যায় কূটনৈতিক চিঠিপত্রের একটি ব্যাগ। ব্যাগের ওপর লেখা ছিল ‘ভারতীয় সরকারি পরিষেবা, কূটনৈতিক চিঠি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’ এক বছর পর এক ফরাসি পর্বতারোহী পান একটি ধাতব বাক্স। সেখানে ছিল রুবি, এমিরেল্ডস, সাফায়ার সহ নানা মূল্যবান ধাতু। যার মূল্য ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৪৬ হাজার ইউরো, যা বাংলাদেশী টাকায় ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার সমতুল্য। ২০১৭ সালে একজন যাত্রীর দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। অবশ্য কেউ কেউ বলেন সেটি ১৯৫০ সালে বিধ্বস্ত হওয়া আরেকটি ভারতীয় বিমান মালাবার প্রিন্সেস-এর যাত্রীরও হতে পারে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর