× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২০০ কুরবানির পশুর হাট বসানোর দাবি ওলামা লীগের

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) জুলাই ১৪, ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

জাতীয় কমিটি কর্তৃক ঢাকাসহ ৪ নগরীতে পশুর হাট বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে ওলামা লীগ। ওলামা লীগ নেতারা বলেন, করোনা অথবা যানজটের অজুহাতে কুরবানির পশুর হাট রাজধানীর বাইরে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেশের ৯৮ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান, হক্কানি-রব্বানি আলেম সমাজ তথা ওলামা লীগ বরদাশত করবে না। কুরবানির হাটের সময় ১০ দিন করা দাবি জানান তারা। রাস্তাঘাট বন্ধ করে ঢাকা মহানগরে ২২১টি মন্ডপ হতে পারলে কুরবানির হাট মাত্র ২১টি কেন? প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যার ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক কমপক্ষে ২০০ কুরবানির হাট বসানো হোক।

মঙ্গলবার ১২ দফা দাবিতে আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমাননা ১২টি দলের মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, কুরবানির হাট নিষিদ্ধ করলে বা হাটের সংখ্যা কম করা হলে কুরবানি নিরুৎসাহিত করলে এবং ফ্লাটবাড়িতে কুরবানি নিষিদ্ধ করলে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের দেশের সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। তাহলে পবিত্র কুরআন শরিফ ও সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না, এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল হাটের নামে প্রতারিত হবেন কুরবানিদাতা। কাজেই ডিজিটাল হাট বসানো যাবে না।

কুরবানির ঈদ তিন দিন কাজেই আসন্ন কুরবানিতে সরকারিভাবে ১২দিন ছুটি দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কুরবানির হাট ইবাদতের হাট। কাজেই এ হাটে গান-বাজনা, গরুর ছবি তোলা ইত্যাদি হারাম কাজ মুক্ত করা হোক।
তথাকথিত ডিজিটাল হাট করা দ্বীন ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। তাই ডিজিটাল হাটের নামে হারাম কাজ ও প্রতারণার ফাঁদ বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি কুরবানির হাটে পর্যপ্ত টয়লেট, এটিএম বুথ, জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন বসানো হোক। পাশাপাশি কুরবানির পশু পরিবহনের গাড়ীতে চাঁদাবাজি এবং ঈদের দিন চামড়া সংগ্রহে মাস্তানদের উৎপাত বন্ধ করা হোক।

তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত চায় লকডাউনের নামে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে। একইভাবে তাদের এজেন্টরা চাচ্ছে করোনার অজুহাতে পবিত্র কুরবানি বাধাগ্রস্ত, দেশের পোল্ট্রি খামারিদের মাঠে বসাতে। সরকারকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিতে হবে।

বক্তারা বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে খুনী মুশতাকের বংশধররা এখনও ভর করে আছে। তারা কুরবানির বিরুদ্ধে এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে সাধারণ ধর্মপ্রাণরা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায়। সাধারণ ধর্মপ্রাণদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত লাগে। ধর্মপ্রাণ মুসলমান সংক্ষুব্ধ হয়। জামায়াত-শিবির তাতে উস্কানি দিয়ে সরকারকে ইসলাম বিরোধী বলে প্রমাণ করতে পারে এবং সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিতে পারে।

সমাবেশ ও মানববন্ধন সমন্বয় করেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর