মিশরে গ্রেপ্তার করার পর সুপরিচিত সাংবাদিক মোহামেদ মনির করোনায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে। এ ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। মিশরে আটক সব সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করে একটি বিবৃতি দিয়েছে সিপিজে। গত মাসে মনির কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় আবির্ভূত হন। মিশরে এই চ্যানেলটি নিষিদ্ধ। ফলে ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার এবং সন্ত্রাসী গ্রুপে যোগ দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় তাকে। সিপিজে বলেছে, অসুস্থ হওয়ার পর তাকে একটি নিঃসঙ্গ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তিনি সোমবার মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বিশ্বের ১৮০ টি দেশে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে যে সূচক করেছে তাতে মিশরের অবস্থান ১৬৬ নম্বরে। এতে মিশরকে বিশ্বে সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় জেলখানার অন্যতম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে মিশরে কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার।
মোহামেদ মনিরের মৃত্যুতে বিবৃতিতে সিপিজে আরও বলেছে, সাংবাদিক মোহামেদ মনিরের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে হতাশ। তাকে অপ্রয়োজনে বিচার শুরুর কমপক্ষে দু’সপ্তাহ আগে আটক করে কুখ্যাত তোরা কারাগারে রাখা হয়েছিল। সিপিজের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী শেরিফ মানসুর বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, কর্মসূত্রে যেসব সাংবাদিককে আটক রাখা হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। এমনকি কোভিড-১৯ এর এই সময়ে তাদেরকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আটকে রাখাও হতে পারে মৃত্যুদন্ডের সমান।
সিপিজে বিবৃতিতে আরো বলেছে, গত ১৫ই জুন কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করে মনিরকে। তিনি জেলখানায় অসুস্থ হওয়ার পর ২রা জুলাই শর্তহীনভাবে তাকে তোরা জেলখানা থেকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর কোভিড-১৯ জটিলতায় গিজা’য় অবস্থিত আগোজা হাসপাতালে সোমবার মারা যান তিনি।