× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বেতেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রহস্যজনক চুরি!

বাংলারজমিন

নড়াইল প্রতিনিধি
১৫ জুলাই ২০২০, বুধবার

নড়াইল সদর উপজেলার বেতেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার চুরির ঘটনায় বেতেঙ্গা গ্রামবাসী সালিশ বৈঠক করেছে। সালিশ বৈঠকে চোরাই মাল প্রকাশ্যে ফেরত দেয়ার পাশাপাশি চুরির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্নিগ্ধা বিশ্বাস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঘর্ণিঝড় আম্পানের সময় খুপড়ি ঘরে থাকা হতদরিদ্রদের আশ্রয় দেয়ার অজুহাতে বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি শিপ্রা বিশ্বাস-এর স্বামী বেতেঙ্গা গ্রামের ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস তার নিকট হতে বিদ্যালয়ের চাবি চেয়ে নেন। চাবি নিয়ে ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস একই গ্রামের রাজেশ বিশ্বাসকে দেন। রাজেশ বিশ্বাস বিদ্যালয়ের ছাদে ধান শুকানোর কাজ করা সহ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দীর্ঘদিন যাবত নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ করানোর জন্য বুধবার ৮ই জুলাই রাজেশ বিশ্বাসের নিকট হতে বিদ্যালয়ের চাবি নেন প্রধান শিক্ষক স্নিগ্ধা বিশ্বাস। চাবি নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ খুলে দেখতে পান বিদ্যালয়ের অভিযোগ বঙে রাখা তার ব্যক্তিগত ৫ হাজার টাকা নাই।
শিক্ষক-কর্মচারী ও অতিথিদের আপ্যায়নের থালা ও প্রিচগুলো নেই। তখন তিনি চুরির বিষয়টি বুঝতে পেরে বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি শিপ্রা বিশ্বাস ও তার স্বামী ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাসকে  জানান। বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি শিপ্রা বিশ্বাস ও তার স্বামী ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রধান শিক্ষক স্নিগ্ধা বিশ্বাসকে এ ঘটনায় চুপ থাকার অনুরোধ করেন। এদিকে চুরির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের নিরবতা ও দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ের চাবি অন্যের কাছে রাখার ব্যাপারে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি শিপ্রা বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ের চাবি নিয়ে তার স্বামী ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস অন্যকে দিয়ে ভুল করেছে, তিনি বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি কাজল বিশ্বাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যালয়ে একাধিক আলমারী থাকা সত্বেও নিরাপদ স্থানে টাকা না রেখে অভিযোগ বঙে প্রধান শিক্ষকের টাকা রাখা ঠিক হয়নি। তাছাড়া এতো টাকা বিদ্যালয়ে রাখা ও দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ের চাবি বেহাত রাখা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বহীনতা বলে মন্তব্য করে তিনি চুরির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। প্রধান শিক্ষক স্নিগ্ধা বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি শিপ্রা বিশ্বাসের স্বামী ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কথা বলে চাবি নেন। পরবর্তীতে তিনি বেতেঙ্গা গ্রামের রাজেশ বিশ্বাসকে বিদ্যালয়ের ছাদে ধান শুকানোর জন্য চাবি দেন। তাদের কাছে চাবি থাকা অবস্থায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হওয়া টাকা ও মালামাল সহ-সভাপতি ও তার স্বামী ফেরত দিতে চেয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, চুরির ঘটনায় তাকে কেউ কিছু জানায়নি। তিনি প্রধান শিক্ষকের নিকট খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর