× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিলমারীতে করোনা রোগীর খবর নিচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ

বাংলারজমিন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১৫ জুলাই ২০২০, বুধবার

নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা চিলমারীতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। করোনা শনাক্তের রিপোর্ট দেয়ার পর আর কোনো দায়িত্ব যেন নেই চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের। করোনা পজেটিভ রোগীদের চিকিৎসায় নেই দায়িত্ব। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে নিজগৃহে চিকিৎসা নেন রোগীরা। ফেসবুক বা বিভিন্ন মাধ্যমে নির্দেশনা দেখেই তা মেনে চলছেন বলে একাধিক রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একদিকে বন্যার পানি বাড়ছে অন্যদিকে করোনা রোগী। এখন পর্যন্ত চিলমারীতে ৪৫ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। মারা  গেছেন ২ জন।
করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার পর শুধু তার বাড়ি লকডাউন করা হয়। কিন্তু রোগীর নিয়মিত চিকিৎসার জন্য কি কি করতে হয়, তার কোনো নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে না উপজেলা কমপ্লেঙ ও প্রশাসন থেকে। করোনা পজেটিভ একাধিক রোগীর সঙ্গে  মোবাইলে কথা হয়। তারা বলেন, করোনা পজেটিভ ঘোষণা দিয়েই দায়িত্ব থেকে খালাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের ডাক্তাররা। কোন ওষুধ কখন খেতে  হবে তার কোনো নির্দেশনা  নেই। এমনকি খোঁজখবরটুকুও রাখেন না তারা। তারা বলেন, ফেসবুক ও পরিচিতদের মাধ্যমে জানতে পারি করোনা হলে কি কি করতে হয়। ফেসবুক দেখে আর পরিচিতদের দেয়া পরামর্শ নিয়ে আমরা তা পালন করছি। নিয়মিত গরম পানি খাচ্ছি। গরম পানির গড়গড়া করছি। তিনি বলেন, ফেসবুক বা নিজেদের জানা মতো নির্দেশনায় যদি চিকিৎসা করতে হয়, তাহলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে এত ডাক্তার কেন? জানা গেছে, করোনা পজেটিভ আসার পর প্রশাসন মাইকিং করে লকডাউন করলেও পরে নেগেটিভ হওয়ার পর লকডাউন তুলে নেয়ার ঘোষণাও দেন নি। একারণে আশেপাশের মানুষ অমানবিক আচরণ করেন এবং তাদের সঙ্গে মিশতে এবং কথা বলতেও চান না। স্বাভাবিক চলাচলেও বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সুস্থ ব্যক্তিদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে অনেকে দ্বিতীয়বার নমুনা দিয়ে নেগেটিভ বলে গণ্য হলেও অনেকে ১৪ দিন পর নমুনা পরীক্ষা না করেই নেগেটিভ হওয়ার ঘোষণা পান। নেগেটিভ হওয়ার সার্টিফিকেট পেলেও স্বাস্থ্য বিভাগ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়িতে এসে নেগেটিভের ঘোষণা বা তাদের সুসংবাদটিও দিতে আসেন না বলে জানান সদ্য পজেটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়া ব্যক্তিরা। এলাকার সচেতন মহল বলেন- অনেক এলাকায় করোনা পজেটিভ ব্যক্তিদের নেগেটিভ আসার পর তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হলেও চিলমারীতে এর চিত্র ভিন্ন মন্তব্য করে তারা বলেন এখানে কোনো ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো তো দূরের কথা তাদের খবরটিও নেয়া হয় না। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আমিনুল ইসলাম বলেন তাদেরকে বলা হয়েছে যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে আমাদের ফোন দিতে। তিনি আরো জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন এক ব্যক্তির একবার নমুনা নেয়া হবে এবং ১৪ দিন পর সে সুস্থ বলে গণ্য হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্‌ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের যখন যে বিষয় বলে আমরা তা পালন করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর