× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মির্জাগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বাংলারজমিন

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
১৪ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের স্লিপের অর্থ আত্মসাৎ ও মালামাল বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনই অভিযোগ পাওয়া যায়  উপজেলার (এসএমসি) ১০ নং বাজিতা দরগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নেছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি হাজী মো. লতিফ মোল্লা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, বাজিতা দরগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  মো. নেছার উদ্দিন ওই বিদ্যালয়ে  যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। তিনি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের স্লিপের ৫০ হাজার, রুটিন  মেনটিসের ৪০ হাজার, প্রাক-প্রাথমিকের ১০ হাজার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনো কাজ করেননি। এ বিষয়ে তার কাছে হিসাব চাইলে বিভিন্ন টালবাহানা করেন এবং মনগড়া হিসাব দেন। এ ছাড়াও কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পুরাতন আসবাবপত্র বিক্রি করে ১৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. লতিফ মোল্লা বলেন, গত অর্থবছরে বিদ্যালয়ে সরকারি ভাবে যে পরিমাণে টাকা বরাদ্দ এসেছে তা ভুয়া ভাউচার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে বিল উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেছেন। কাজ না করায় সভাপতির  তোপের মুখে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ স্থানীয় ভাবে প্রধান শিক্ষককে ৪৩ হাজার টাকার কাজ করার কথা বলেন।
কিন্তু বছর পার হলেও প্রধান শিক্ষক এখন পর্যন্ত কোনো কাজ করেননি।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. নেছার উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে কমিটি নেই অনেক দিন ধরে। কমিটি নিয়ে মামলা চলমান আছে। অভিযোগ হয়েছে, শুনেছি। তবে বিদ্যালয়ের কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগের কপি  পেয়েছি। তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর