ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার সম্প্রতি পক্ষত্যাগ করে ইসরাইলে পালিয়েছেন। তিনি গাজা-ভিত্তিক সামরিক সংগঠনটির বিস্তারিত গোয়েন্দা তথ্য ইসরাইলকে সরবরাহ করেছেন। অজ্ঞাত সূত্রের বরাতে এ খবর দিয়েছে সৌদি আরবের আল আরাবিয়া টিভি চ্যানেল। ইসরাইলকে ওই হামাস সামরিক কমান্ডারের দেওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিত অভিযান, সমরাস্ত্র মজুদাগার ও প্রশিক্ষণ স্থাপনার তথ্য। এছাড়া হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের আবাসিক ঠিকানাও দিয়েছেন তিনি। তবে এই প্রতিবেদন আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস।
তবে আল আরাবিয়া বলছে, হামাস ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কাতারে বসবাসরত সংস্থাটির রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েহ এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত হালনাগাদ তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করা হয়েছে বলে দাবি করছে সৌদি আরব সরকারের ঘনিষ্ঠ এই সংবাদ মাধ্যম।
খবরে বলা হয়, হামাসের এলিট নৌ ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন ওই কমান্ডার। আর তিনি ২০০৯ সাল থেকেই ইসরাইলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত ছিলেন। খবরে বলা হয়, ওই কমান্ডারকে গাজা তীর থেকে বের করতে ৭২ ঘণ্টার অভিযান চালায় ইসরাইলের বহিঃগোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। তবে গাজার সূত্রগুলো বলছে, গাজা সংক্রান্ত তৎপরতায় মোসাদ সচারাচর যুক্ত থাকে না। ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেট এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরিচালনা করে। ওই সূত্রগুলো বলছে, এতেই প্রমাণ হয় হামাসের দাবিই সত্য।
আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই কমান্ডার পালিয়ে যাওয়ার পর হামাস নিজেদের বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে আটক করে। এর মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ ওমর আবু আজওয়া, যিনি গাজার শুজাইয়েহ এলাকায় হামাসের ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব ছিলেন। বলা হচ্ছে তিনিও ইসরাইলকে হামাসের ব্যবহৃত যোগাযোগ পদ্ধতির তথ্য দিয়েছেন।
শুক্রবার এই বিষয়ে জারি করা এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘আল আরাবিয়া চ্যানেল এমন সব গুজব প্রচার করছে যা গাজায় দখলদার বাহিনীর স্বার্থ রক্ষা করছে।’