× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দায়ের অ্যামনেস্টির মামলা ইসরায়েলি আদালতে খারিজ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জুলাই ১৫, ২০২০, বুধবার, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

ইসরায়েলি প্রযুক্তিসংস্থা এনএসও গ্রুপের রপ্তানি লাইসেন্স বাতিলের জন্য আবেদন জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তবে ইসরায়েলের আদালতে করা ওই আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। এনএসওর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে তার লাইসেন্স বাতিলের ওই আবেদন করা হয়েছিল।
ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীদের ওপর নজরদারি ও তথ্যপাচার করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে প্রযুক্তিসংস্থা এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ নিয়ে মার্কিন একটি আদালতেও হোয়াটসাপের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও একই অভিযোগে তেল আবিবের একটি আদালতে এনএসও গ্রুপের রপ্তানি লাইসেন্স বাতিল করবার আর্জি জানায়। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, এনএসও গ্রুপের প্যাগাসাস নামের প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যবহারকারীর অজান্তেই মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন চালু করে তার সব তথ্য নিয়ে নেয়া যায়। এর ফলে হাতের মুঠোয় থাকা ফোন সহজেই হয়ে ওঠে নজরদারি পণ্য।
কিন্তু সোমবার মামলার শুনানিতে এই আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক রেচেল বারকাই।
তিনি জানান, কোনো মানবাধিকার কর্মীর ফোন ব্যবহার করে তার ওপর নজরদারি চালানোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-পরিচালক ডানা ইংলেটন এই ঘোষণাকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই শুনানি বিশ্বজুড়ে মানুষকে বিপদের ঝুঁকিতে ফেলবে। এই পণ্য এনএসও গ্রুপ সারা বিশ্বের মানবাধিকারবিরোধী শক্তিদের কাছে বিক্রি করতে পারবে। ইসরায়েল এ প্রযুক্তি সৌদি আরবকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অ্যামনেস্টি।
গত মাসেই অ্যামনেস্টি দাবি করে, মরক্কোর সাংবাদিক ওমার রাডির বিরুদ্ধে এনএসও'র এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছিল। কিন্তু এনএসও গ্রুপের পক্ষে এ বিষয়ে কোনো মতামত পাওয়া যায়নি। বরং তাদের ব্যবসা এমন অভিযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানায় তারা। ২০১৬ সাল থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে এনএসও গ্রুপ। আরব আমিরাতের সরকারকে নজরদারি চালানোয় এই সংস্থা সাহায্য করেছিল বলে দাবি অ্যামনেস্টির। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থায় বর্তমানে নিযুক্ত প্রায় ৬০০ জন। বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে তাদের কার্যালয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর