× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশের প্রত্যাখান করা ৬ চীনা বিমান কিনে বিপাকে নেপাল!

অনলাইন

তারিক চয়ন
(৩ বছর আগে) জুলাই ১৫, ২০২০, বুধবার, ১:০৮ পূর্বাহ্ন

২০১১ সালে বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে দু’টি পৃথক বিশেষজ্ঞ দল চীন গিয়েছিল বিশেষ কয়েকটি মডেলের বিমানের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে। বাংলাদেশি দলটি দেশে ফিরে ওই বিমানগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী প্রতিবেদন দিলেও উল্টো পথে যায় নেপাল। চীনের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধায় মোট ছয়টি বিমান কিনে নেপাল। ঠিকঠাক ব্যবহার করতে না পেরে সেই বিমানগুলো এখন চিরতরে বসিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছে নেপাল।

নেপালের প্রভাবশালী গণমাধ্যম কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানিয়েছে, চীনের কাছ থেকে কেনা ১৭ সিটের ওয়াই১২ই এবং ৫৬ সিটের এমএ৬০ প্লেন আর না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল এয়ারলাইনস করপোরেশন। আগামী ১৬ জুলাই থেকে আর উড়বে না সেগুলো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত খরচ সামলাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। কারণ বিমানগুলো পরিচালনা ও বীমার খরচ বাবদ অন্তত ২০০ কোটি নেপালি রুপি ক্ষতি হয়েছে তাদের।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ২০১২ সালে চীনের বিমান শিল্প করপোরেশনের সঙ্গে দু’টি এমএ৬০ ও চারটি ওয়াই১২ই কেনার চুক্তি হয় নেপাল এয়ারলাইনসের। চুক্তি অনুসারে, মাত্র ৩৭২ কোটি নেপালি রুপির বিনিময়ে ও চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে বিশেষ ঋণ সুবিধায় তিনটি ওয়াই১২ই ও একটি এমএ৬০ প্লেন কেনে নেপাল। এরসঙ্গে আরও একটি করে ওয়াই১২ই ও এমএ৬০ প্লেন উপহার বা ফ্রি দেয় চীন।

এ ঘটনাকে সেসময় নেপালের ইতিহাসের অন্যতম মাইলফলক বলে উদযাপন করা হয়।
কিন্তু বিমানগুলোর মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশের যে আশা করেছিল তারা, তা আর হয়ে ওঠেনি। কারণ, চীনা বিমান উড়ানোর মতো যথেষ্ট দক্ষ পাইলট ছিল না তাদের। আর এতদিনে পর্যাপ্ত পাইলট তৈরিও করতে পারেনি নেপালি কর্তৃপক্ষ। ফলে কেনার ছয় বছর পরেও একবারের জন্যেও আকাশে উড়ানো যায়নি একটি এমএ৬০ প্লেন।

ওয়াই১২ই উড়লেও সেগুলো নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। গত মার্চে এমনই একটি বিমান নেপালগুঞ্জ বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছিল। এর জন্য পাইলটকে দায়ী করে বরখাস্তও করা হয়। পরে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্লেনের একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও পাইলট সেটিকে ভুলভাবে ল্যান্ড করিয়েছেন। তবে তদন্তকারীরা ওয়াই১২ই প্লেনের কার্যক্ষমতা নিয়েও সন্দেহপ্রকাশ করেন।
এসবের তিন মাস পরেই ওয়াই১২ই ও এমএম৬০ প্লেনগুলো আর না উড়ানোর ঘোষণা দিল নেপাল। তবে অনেকের মতে, দোষ চীনা বিমানগুলোর চেয়ে নেপাল এয়ারলাইনস করপোরেশনের ব্যবস্থাপনাতেই বেশি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর