× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সংবাদ সম্মেলনে জায়েদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ জুলাই ২০২০, বুধবার

চলচ্চিত্রের স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে  অবাঞ্চিত ঘোষণা করলো চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন।
আজ দুপুরে বিএফডিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় ১৮ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা আনতে ও নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে কাজের গতি বাড়াতে গত বছরের অক্টোবরে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের সমন্বয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। এটি বাস্তবায়ন হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে ন্যূনতম ১৫ লাখ টাকা ব্যয় কমে আসবে। কিন্তু সেই উদ্যোগটি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন জায়েদ খান। তার বিরুদ্ধে এ নীতিমালা না মানতে শিল্পীদের ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রযোজক সমিতির সদস্য হয়েও তার এমন কর্মকাণ্ড প্রযোজক সমিতির স্বার্থের পরিপন্থী। গতকাল বিকাল ৪টায় প্রযোজক সমিতির কার্যালয়ে ১৮ সংগঠনের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জায়েদ খানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এর আগে ‘সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ জড়িত থাকার অভিযোগে প্রযোজক জায়েদ খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নির্মাণ ব্যয় কমানাের লক্ষ্যে এবং সুষ্ঠ পরিবেশ ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে এ বছরের শুরুর দিকে আমরা চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন একত্রে মিলিত হয়ে 'চলচ্চিত্র নির্মান সংক্রান্ত নীতিমালা প্রনয়ন কমিটি' নামে একটি কমিটি গঠন করি।
সব সমিতি এই কমিটির নীতিমালার সাথে একমত পােষণ করলেও শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থের কারণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এর বিরােধিতা করে। আমরা তাদেরকে বােঝানাের জন্য বেশ কয়েকজন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে একটা সভা করি। যাদের অধিকাংশই আবার শিল্পী সমিতির সম্মানিত উপদেষ্টা।
তারাও আমাদের নীতিমালাকে প্রশংসা করেন এবং চলচ্চিত্রের স্বার্থে নীতিমালাটিকে মেনে নেবার জন্য শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দকে অনুরােধ করেন। কিন্তু তারপরও শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ আমাদের সকলের মতামতের ভিত্তিতে তৈরী নীতিমালাকে মেনে নেননি। ১৮ সংগঠনের পক্ষে গুলজার বলেন, আমরা বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পেরেছি, এই নীতিমালার সবচেয়ে বেশি বিরােধিতা করছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তার কারণেই শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ অন্যান্য সকল সমিতি কর্তৃক প্রনয়নকৃত নীতিমালা মেনে নিতে পারছেন না।
এছাড়াও জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিল্পী-কুশলীকে হয়রানি করা, মিথ্যা মামলা দেয়া এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করার অনেক অভিযােগ এসেছে।
জায়েদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে বলা হয়, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিলের জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খরচের জন্য নগদ ৬ লক্ষ টাকা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের নিকট থেকে সরাসরি গ্রহণ করেন। কিন্তু জাতীয় কমিটি কর্তৃক গঠিত অর্থ সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বাচ্চু, জায়েদ খানকে বারবার চিঠি দিয়ে সভায় উপস্থিত থেকে ৬ লক্ষ টাকার হিসাব প্রদান করার জন্য অনুরােধ করলেও তিনি কোনো সভায় উপস্থিত হননি এবং হিসাবও দেননি।
এ কারণে গতকাল ১৪ই জুলাই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠনের এক জরুরি সভায় জায়েদ খানকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকান্ড থেকে বয়কট অর্থাৎ বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তার সাথে কেউ কাজ করবেন না এবং তার সাথে কেউ কোনো কাজে অংশগ্রহণ করবেন না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর