ইতালিয়ান সিরি আ’য় ছন্দ হারিয়েছে জুভেন্টাস। এসি মিলানের কাছে হারের পর আটালান্টার সঙ্গে ড্র। বুধবার রাতে জিততে পারেনি সাসসুয়োলোর সঙ্গে। প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-৩ গোলে ড্র করে ফিরেছে মাউরিসিও সারির দল। টানা দুই ড্রয়েও খুব বেশি ক্ষতি হচ্ছে না জুভেন্টাসের। কেননা পয়েন্ট হারাচ্ছে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বীরাও। এতদিন দুই নম্বরে থাকা লাজিও গোলশূন্য ড্র করেছে উদিনেসের সঙ্গে। এই ড্রয়ে তিনে নেমে গেছে লাজিও (৬৯ পয়েন্ট)।
দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দারুণ ছন্দে থাকা আটালান্টা (৭০ পয়েন্ট)। জুভেন্টাসের পয়েন্টট ৭৭। লীগে বাকি আর ৫ ম্যাচ।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। পঞ্চম মিনিটে দানিলোর গোলে লিড নেয় তারা। দ্বাদশ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান গঞ্জালো হিগুয়েইন। দুই গোল হজমের পরও দমে যায়নি সাসসুয়োলো। ২৯তম মিনিটে স্ট্রাইকার ফ্রানসিস্কো কাপুতোর কাছ থেকে বল নিয়ে গোল করেন উইঙ্গার ফিলিপ জুরিচিচ। দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে এগিয়ে যায় সাসসুয়োলো। ৫১তম মিনিটে বেরার্দির বাঁ পায়ের শট এবং ৫৪তম মিনিটে ফ্রান্সেসকো কাপুতোর গোলমুখের খুব কাছাকাছি থেকে নেওয়া শট জাল খুঁজে পায়।
৬৪তম মিনিটে গোল করে জুভেন্টাস শিবিরে স্বস্তি ফেরান অ্যালেক্স সান্দ্রো। তবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তিনটি গোল মিস না করলে পয়েন্ট হারাতে হতো না জুভেন্টাসকে। টানা ছয় ম্যাচে গোল করার পর অবশেষে থামলেন রোনালদো। ম্যাচ সমতায় শেষ হওয়ার পেছনে অবশ্য সাসসুয়োলোর চেয়ে জুভেন্টাসের গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনির কৃতিত্ব বেশি। আহমেদ ট্রায়োরে আর কাপুতোর দুইটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দিয়েছেন তিনি। পুরো ম্যাচে স্ট্যাসনি মোট সেভ করেছেন ৭টি, জুভেন্টাস গোলরক্ষক হিসেবে এক ম্যাচে এতোগুলো সেভ সবশেষ করেছিলেন জিয়ানলুজি বুফন, সেটাও ২০১৪ সালে।