× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শাহজাদপুরে বন্যায় হাজারো মানুষ পানিবন্দি

বাংলারজমিন

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে খাদ্যের অভাব। ঘর-বাড়ী তলিয়ে যাওয়া শত শত পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি  ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর মধ্যে সোনাতনী, জালালপুর, কৈজুরী, গালা, রূপবাটি ও পোরজনা ইউনিয়ন উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও শাহজাদপুর পৌর এলাকার নি¤œাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সোনাতনী, জালালপুর, কৈজুরী, গালা, রূপবাটি ও পোরজনা ইউনিয়নের অনেক গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
ওই ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সোনাতনী ইউনিয়নের ৭০ ভাগ, গালা ইউনিয়নের প্রায় ৯০ ভাগ, জালালপুর, কৈজুরী, পোরজনা ও রূপবাটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ ভাগ পরিবার বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় প্লাবিত ইউনিয়নগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে এ পর্যন্ত পৌঁছেনি কোনো ত্রাণ-সামগ্রী। পূর্ব থেকেই করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের মানুষ এমনিতেই অভাব-অনটনের মধ্যে জীবন-যাপন করছে। তার উপর বন্যার পানি মানুষের মাঝে টেনে এনেছে নতুন বিপদ। পৌর অঞ্চলের নি¤œ এলাকার মধ্যে রয়েছে- শান্তিপুর, রূপপুর নতুনপাড়া (উড়ির চর), দ্বারিয়াপুর (পশ্চিমপাড়া), শক্তিপুর (পশ্চিমপাড়া), প্রাণনাথপুর এবং পাড়কোলা গ্রামের নি¤œাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়ীতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। বৃহস্পতিবার গালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন ও সোনাতনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান জানান, ‘আমাদের ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫৯টি গ্রামে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার। তারা জানান, এ পর্যন্ত সরকার থেকে কোন প্রকার ত্রাণ-সামগ্রী পাই নি। বন্যায় ডুবে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো সাহায্যের জন্য আমার বাড়ীতে ভীড় জমাচ্ছে। দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা না করলে বন্যায় প্লাবিত মানুষদের না খেয়ে থাকতে হবে।’ এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘এ পর্যন্ত বন্যায় প্লাবিত ৭’শ ৯০টি পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর