ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যেকার দ্বিতীয় টেস্টে ঘটল নজিরবিহীন ঘটনা। এই টেস্টে ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে রয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রডের বাবা ক্রিস ব্রড। আর স্টুয়ার্ট ব্রড খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন ঘটনা এবারই প্রথম। এমন ঘটনার সাক্ষী হতে পারত সাউদাম্পটন টেস্ট। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে একাদশ থেকে বাদ পড়েন স্টুয়ার্ট ব্রড।
বাবা-ছেলের এমন নজির প্রথমবার ঘটার প্রধান কারণ করোনাভাইরাস। এই কারণে তৃতীয় কোন দেশের ম্যাচ অফিসিয়াল ছাড়া স্থানীয় অফিসিয়াল দিয়ে খেলা চালানোর অনুমতি দেয় আইসিসি। আইসিসির এলিট প্যানেলে সাতজন ম্যাচ রেফারির মধ্যে ইংল্যান্ডের আছেন কেবল ক্রিস ব্রডই।
কাজেই স্থানীয় ম্যাচ রেফারি হিসেবে তিনি থাকতেনই। এমনিতে টেস্ট ম্যাচে ম্যাচ রেফারি ও মাঠের দুই আম্পায়ার বাধ্যতামূলকভাবে তৃতীয় কোন দেশের হওয়ায় বাবা-ছেলের এমন ইতিহাসের সুযোগ ছিল না। সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিস অনেকদিন থেকে ম্যাচ রেফারি থাকলেও কখনো তাই ছেলের কোন ম্যাচ পাননি।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২৫ টেস্ট ও ৩৪ ওয়ানডে খেলা সাবেক ব্যাটসম্যান ক্রিস ব্রড আইসিসির ম্যাচ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ২০০৩ সাল থেকে। ১০১ টেস্ট ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ৩২৩ ওয়ানডে ও ১০৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ছিলেন ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্বে।
একই আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাবা আম্পায়ার আর ছেলে খেলোয়াড় এমন ঘটনা অবশ্য আছে। ওয়ানডেতে ২০০৬ সালে সেই ঘটনায় আবার সাক্ষী বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে নাইরোবিতে এক ম্যাচে কেনিয়ার হয়ে খেলছিলেন হিতেশ মোদি। সেই ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তারই বাবা সুভাস মোদি। মজার কথা হলো, মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে হিতেশ আউটের আবেদনে আঙুল তুলেছিলেন তার বাবা সুভাস।