আবার সেই বিশ্ববিখ্যাত ক্রিকেট লেখক নেভিল কার্ডাসকে স্মরণ করতে হয় যিনি বলেছিলেন স্কোরবোর্ড আসলে একটি গাধা। ক্রিকেটে যেমন স্কোরবোর্ড এর রানটি দেখে ব্যাটিংয়ের ধরণটি বোঝা যায়না, করোনাতেও কি তাই ? ভারত মোট করোনা কেসলোড এ দশলক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে আমেরিকা, ব্রাজিলের এলিট ক্লাবে নাম লিখিয়েছে, আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সম্পূর্ণ উল্টোসুর গাইছে। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা জানিয়েছে ভারতে ন’ লক্ষ আটষট্টি হাজার করোনা সংক্রমণের মধ্যে নাকি প্রকৃত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষ একত্রিশ হাজার। অর্থাৎ সংক্রমিত ও করোনায় আসল আক্রান্তের মধ্যে ফারাক আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যাটি সংক্রমিতের এক তৃতীয়াংশ এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাঁরা জানিয়েছেন যে ভারতে প্রোএক্টিভ টেস্ট, ট্রিটমেন্ট এবং কন্টেনমেন্ট এর মাধ্যমে নাকি করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। দেশে মৃতের সংখ্যা পঁচিশ হাজার পেরিয়ে গেছে, সে কথা মাথায় রেখেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে ভারতে করোনা কেস এর ৪৮.১৫ শতাংশই মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু থেকে। তাই, এখনই যাঁরা গেল গেল রব তুলছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না।
ভারতে জনঘনত্বের তুলনায় সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।