ঢাকার সদরঘাটে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়া জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির নারীবাহিনীর সদস্যটি যে এই গ্রামের প্রাক্তন বাসিন্দা তা বিশ্বাস করতে পারছে না পশ্চিম কেশবপুর। হুগলি জেলার ধনিয়াখালির পশ্চিম কেশবপুর গ্রামের প্রজ্ঞা দেবনাথই এখন জে এম বির জঙ্গি নেত্রী আয়েশা জন্নত মোহনা ওরফে জান্নাউত তাসনিম। শান্ত সুশীতল ধনিয়াখালির পশ্চিম কেশবপুরের মেয়েটির বয়স এখন বছর পঁচিশ। আসল নাম প্রজ্ঞা দেবনাথ। ক্লাস নাইনে পড়ার সময় এক বন্ধুর প্ররোচনায় সে ধর্মান্তরিত হয়। ফেসবুকে পরিচয় হয় বাংলাদেশের জেএমবির নারীবাহিনীর প্রধান আসমানী খাতুন আসমার সঙ্গে। আসমার প্রভাবেই জেএমবিতে যোগ দেয় মোহনা। অচিরেই হয়ে যায় সে আঞ্চলিক নেত্রী।
বাংলাদেশ পুলিশের কাছে মোহনা স্বীকার করেছে সে দুই বাংলায় যাতায়াত করতো অবাধে। ভারতে আশ্রয় নিত ঘোজাডাঙ্গা, বসিরহাটের কিছু মাদ্রাসায়। ভারত থেকে টাকা পয়সা আনার কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল তাকে। সম্প্রতি প্রজ্ঞা ওরফে মোহনা বিয়ে সেরেছে টেলিফোনে ওমানবাসী এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। জেরায় মোহনা জানিয়েছে তার স্বামীও জে এম বির কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। ধনিয়াখালির পশ্চিম কেশবপুর গ্রামের অধিকাংশই বিখ্যাত ধনেখালি শাড়ি তৈরির বিভিন্ন পেশায় যুক্ত। এই গ্রামের মেয়ে প্রজ্ঞাকে অনেকেই মনে করতে পারছেন। কিন্তু, মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে কালোকোলো মেয়েটাই এখন দুর্ধর্ষ জঙ্গি।