পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য জুড়ে থাকা সাতশো উনচল্লিশটি কন্টেনমেন্ট এলাকায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়া হলো একত্রিশ জুলাই পর্যন্ত। পরিস্থিতি দেখে এই মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে। এ ব্যাপারে জেলাশাসকের পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হলো। আঞ্চলিক ভিত্তিতে লকডাউনের ব্যাপারে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। ভাইরোলজিস্ট আমিতাভ নন্দী এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস মনে করেন, শুধুমাত্র কন্টেনমেন্ট এলাকায় নয়, করোনা বাড়ার প্রেক্ষিতে গোটা রাজ্যেই আবার কঠোর লকডাউনের প্রয়োজন আছে। পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ দিচ্ছে। কলকাতায় আট জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত ছিল আট হাজার তিনশো আটষট্টি। উনিশ জুলাই তা বেড়ে হয়েছে আঠারো হাজার তিনশো চুয়াল্লিশ।
উত্তর চব্বিশ পরগনায় আট জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল চার লক্ষ ছশো সতের। উনিশ জুলাই তা দাঁড়িয়েছে আট হাজার পাঁচশো সত্তর জন। চিকিৎসকরা বলছেন কমিউনিটি সার্জ কমাতে পূর্ণ লকডাউনই একমাত্র সুরাহা। রাজ্যে রবিবার ছত্রিশটা মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কলকাতাতেই পনের জন। মোট মৃত একহাজার একশো বারো। রাজ্যের মোট সাতশো উনচল্লিশটি কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়ায় কন্টেনমেন্ট জোন দুশো সাতানব্বইটি। একত্রিশ জুলাই পর্যন্ত এই এলাকাগুলো কড়া নজরদারিতে।