একুশ জুলাইয়ের আগের দিনটিতেই সাজ সাজ রব পড়ে যেত কলকাতায়। হাওড়া, শেয়ালদায় ট্রেন, দূরপাল্লার বাস উগরে দিতো হাজার হাজার তৃণমূল সমর্থককে। দক্ষিণের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, মধ্য কলকাতার বিভিন্ন হল আর ধর্মশালায় চলতো রাজসূয় যজ্ঞ। হালুইকররা বড় বড় কড়াইতে রান্না চাপাতেন। বায়ো টয়লেট এর রক্ষণাবেক্ষনে ব্যস্ত থাকতেন ভলান্টিয়াররা। কুড়ি তারিখ থেকেই শুরু হয়ে যেত মহাযজ্ঞ। যা শেষ হত ধর্মতলার শহীদ স্মরণ মঞ্চে দলের সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর ভাষণে। এবার করোনার কারণে এ সবের কিছুই নেই।
মূল সভাটিই হবে ভার্চুয়াল। এলাকায় এলাকায় বেলা একটা থেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে কম লোকের সমাবেশে ভাষণ দেবেন আঞ্চলিক নেতারা। বেলা দুটোয় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাষণ। জায়ান্ট স্ক্রিনে বিভিন্ন জায়গায় এই ভাষণ শোনানো ও দেখানো হবে। প্রতিবার শহীদ স্মরণ মঞ্চে কিছু চমক থাকে। একুশের নির্বাচনের আগে কি ঘর ওয়াপসির কোন চমক দেবে তৃণমূল? সমর্থকদের উইশ লিস্টে আছেন মুকুল রায়। রাজ্য বিজেপিতে প্রায় ব্রাত্য মুকুল নাকি ঘরে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তা যদি হয় তাহলে একুশের নির্বাচনের আগে তা হবে দিদির প্রাইজ ক্যাচ। মুকুল নিজে এ ব্যাপারে স্পিকটি নট। জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নাকি মুকুলের জন্যে বড় পদ ঘোষণা করতে পারে এদিনই। অর্থাৎ একুশ জুলাই এর ভার্চুয়াল সভাকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।