× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাতে চাই খিচুড়ি; কিন্তু বৃষ্টি হলেই কেন?

রকমারি

পিয়াস সরকার
২১ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
ধান দেব মেপে
লেবুর পাতা, করমচা
যা বৃষ্টি চলে যা

এমন বৃষ্টি নিয়ে কতো ছড়া আমাদের জানা। বৃষ্টি মানেই আলাদা ভালো লাগা, বৃষ্টি মানেই অন্যরকম স্নিগ্ধতা। অতিথি পরায়ণ বাঙ্গালি জাতি যেন এই উদাস বৃষ্টিতে বেশি করে কাছে পেতে চায় বন্ধুদের, অতিথিদের। বৃষ্টির দিনে অতিথি মানেই অপ্যায়নে থাকে খিচুড়ি। শুধু অতিথি নয়, বৃষ্টির দিনে পরিবারসহ খিচুড়ি খাওয়াতে যেন অন্য রকম অনুভুতি কাজ করে। আর সঙ্গে ইলিশ ভাজা হলে যেন ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হয়।

কিন্তু বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি কেন?
ইতিহাস থেকে জানা যায়, খিচুড়ি মূলত বাউলদের খাবার। এই ছন্নছাড়া গানপাগল মানুষগুলো গান শুনিয়ে মানুষের বাড়িতে পেতেন চাল ও ডাল। তাই তারা এই চাল ডাল মিলিয়ে খুব দ্রুত ও ঝামেলা মুক্ত ভাবে রেধে ফেলতেন খিচুড়ি।

অন্যান্য সময় তারা ভিন্ন কোন খাবার রান্না করলেও বৃষ্টির দিনে পেট পুজা করবার এই একটাই খাবার খিচুড়ি।

শুধু তাই নয়, গ্রামাঞ্চলে রান্নাঘর ঘরের বাইরে হওয়ায় ভিজে যেত চুলা।
তাই সহজেই চাল ডাল ও সবজি মিলিয়ে খুব দ্রুত হয়ে যায় খিচুড়ি। এসব কারণেই বৃষ্টির দিনের সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে খিচুড়ি সংস্কৃতি।

ইলিশ মাছ ভাজা এসেছে, বর্ষাকালে নদীর তাজা ইলিশ মেলে অধিক পরিমাণে। এই কারণে খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা জড়িয়ে গেছে। আবার খিচুড়ি একটি গুরুপাক খাবার। এই খাবার খেলে হজম সমস্যা হয় ব্যাপক পরিমাণে। এই স্বাদের খাবার গরমে খাওয়া বিপদজনক। তাই বৃষ্টিতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় খিচুড়ি খেয়ে সমস্যায় পড়তে হয় না গ্রহণকারীদের।

খিচুড়ির ইতিহাস যাই হোক না কেন, আজকের এই বৃষ্টি স্নাত আবহাওয়ায় চাইলেই পেটপুরে আয়েশ করে খেতে পারেন খিচুড়ি। বৃষ্টি বিলাস উদযাপন করবার এ যেন মোক্ষম হাতিয়ার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর