ভোর সাড়ে পাঁচটাতেই পুলিশের গাড়ির ঘড়ঘড় শব্দ। অন্যদিন কলকাতার ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে। শনিবার ভাঙলো পুলিশের বুট এর মসমস আওয়াজে। শনিবার শুরু হল সাপ্তাহিক দু'দিন লকডাউনের দ্বিতীয় দিনটি। পাড়ায় পাড়ায়, রাস্তায় রাস্তায় পুলিশে পুলিশে ছয়লাব। কঠোর অনুশাসনে কলকাতা। রাস্তায় একটি মানুষও বের হওয়া চলবে না। বের হবে না কোনও যানবাহন।
খুলবে না দোকানপাট, বাজার। চারদিকে স্তব্ধতা। মার্চের শেষদিকে প্রথম লোকডাউনে যদি এই কড়াকড়ি থাকতো! তাহলে হয়তো করোনা এই ভয়ঙ্কর রুপ নিতে পারতো না। শুক্রবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু'হাজার দুশো ষোলো। মৃত্যু হয়েছে পঁয়ত্রিশ জনের। বুধবার প্রথম দিনের লকডাউনে পুলিশ কলকাতায় মোট দু'শো ছাপ্পান্নটি এফ আই আর করে লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে। একহাজার দু'শো তিয়াত্তর জনকে গ্রেফতার করা হয়। উনিশটি গাড়ি আটক করা হয় এবং মাস্ক না পরার জন্যে গ্রেফতার হন ছশো পঁয়ষট্টি জন। কলকাতা পুলিশের লক্ষ্য দ্বিতীয় দিনে এই সংখ্যা গুলো কমিয়ে আনার। প্রথম দিনের লডাউন এর থেকে শনিবার কলকাতার রাস্তা আরও শুনশান। জনমানবশূন্য। চেনা কলকাতাকে যেন কেমন অচেনা ঠেকছে। পাখিগুলো যেন ডাকতে ভুলে গেছে।