কল্যাণপুর স্কুল ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমাজসেবক সাহাদাত হোসেন লিটন। এর আগে তিনি ডোনার মেম্বার হিসেবে ছিলেন। মিরপুরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কল্যাণপুরের গৌরব,ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দিচ্ছে প্রগতিশীল ও আধুনিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি। অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল বরাবরই গৌরব দীপ্ত। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাহানাজ বেগম। এছাড়া নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন তারিক ঘোষাল আমিন ও মোহাম্মদ মহীউদ্দিন। সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়াই গর্বিত বলে মনে করছেন সাহাদাত হোসেন লিটন। মানবজমিনকে তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানটি আজ একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।
সভাপতি হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহ্য ও সুনাম অক্ষুন্ন রেখে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নেয়া হবে। বিশেষ করে শিক্ষার মান ও পরিবেশের প্রতি আমি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবো। ঢাকার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটাকে গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। এজন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও এলাকাবাসীর একান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করি প্রত্যেকে প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিতে আমাকে সহযোগিতা করবেন। সংশ্লিষ্টরা জানান,কল্যাণপুর গার্লস স্কুল ও কলেজ একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যুগোপযোগী সকল প্রকার আধুনিক সুবিধার মধ্যে থেকে মেয়েরা এখানে প্লে থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি মিরপুরের কল্যাণপুর এলাকার একটি নির্মল ও মনোমুগ্ধকর অঙ্গনে ২.১৩ একর জমির উপর অবস্থিত। এখানে একদিকে রয়েছে রাজধানী শহরের সার্বিক সুবিধাদি অপরদিকে রয়েছে সবুজাভ গাছের নির্মল পরিবেশ। প্রতিষ্ঠানটির পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক এবং প্রায় প্রতিবছর উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক জিপিএ ৫ সহ শতভাগ পাশ করে থাকে। ১৯৭২ সালে স্কুল শাখা স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৩ সালে শুরু হয় কলেজ শাখার যাত্রা। এখানে রয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অভিজ্ঞ শিক্ষক, যাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা আর সুশৃঙ্খল প্রশাসনের প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাগুলোতে মিরপুর থানায় ১ম স্থান অধিকার করার কৃতিত্ব অর্জনসহ শতভাগ পাশের ধারাবাহিকতা তৈরি হয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমসহ সুপ্রশস্থ শ্রেণিকক্ষ, আইসিটি ল্যাব, বিষয়ভিত্তিক গবেষণাগার, শিশুদের জন্য মিনিপার্ক, খেলাধুলার জন্য বিশাল মাঠ, ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার এসব অবকাঠামোগত পূর্ণতার সঙ্গে নিয়মিত আন্তঃ ও জাতীয় পর্যায়ের সহপাঠ কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানটিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে।