× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে, কমছে সিলেবাস

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৮ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে প্রাথমিকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এ ছাড়াও তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয় তবে এ বছরেই প্রাথমিকের শিক্ষাবর্ষ শেষ করা হবে। আর যদি খোলা সম্ভব না হয় তবে শিক্ষাবর্ষ দুই মাস দীর্ঘায়িত করা হতে পারে। সোমবার শিক্ষা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত ‘করোনাকালে প্রাথমিক শিক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ভার্চ্যুয়াল এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইরাব’র সভাপতি মুসতাক আহমদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জা?কির হোসেন আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। এই পরীক্ষা আরো অধিকতর যুগোপযোগী করার পরিকল্পনা করছে সরকার। আগামী ৬ই আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। প্রায় সাড়ে ৫ মাস ধরে বন্ধ।
এই দীর্ঘদিন বন্ধের যে ক্ষতি হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষায় তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের বেশকিছু পরিকল্পনা রয়েছে।
সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং এনসিটিবি, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ন্যাপকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা এই বিষয়ে কাজ করছেন। সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের বিষয়ে এক শ্রেণি থেকে পরের শ্রেণিতে উঠতে তাদের যতটুকু পাঠযোগ্যতা দরকার, সেটি রাখা হবে। গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো থাকবে যাতে শিক্ষার্থীরা পরের শ্রেণির পাঠের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এ ছাড়াও তিনি বলেন, ঈদুল আজহার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত সরকারের নেই। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে সেটা ?বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।  
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে আমরা টেলিভিশন সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করেছি। শিক্ষকরা তাদের নিজেদের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি হেল্পলাইন সেন্টার চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ফোন করে পছন্দ শিক্ষকের কাছ থেকে পাঠ্য বিষয়ক পরামর্শ পাবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে পরামর্শ নিতে পারবেন। এ ছাড়াও রেডিওর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনারও কার্যক্রম চলছে।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে। শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কতটা বৈষম্য দূর করা যায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো বিপদে রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। সুদবিহীন ঋণের ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের প্রণোদনা দেয়া প্রয়োজন। অথচ নানাভাবে তারা নিজেদের পরিস্থিতি তুলে ধরলো কিন্তু তাদের দিকে কেউ ফিরেও দেখছে না। তিনি আরো বলেন, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন কার্যক্রম মূল্যায়ন পথিক হয়েছে ইন্টারনেট। কিন্তু নতুন বাজেটে ইন্টারনেটের কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি একটি সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত। সরকারের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েও তা কার্যকর করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষকদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। গণিতের ভীতি কমাতে আমরা গণিত অলিম্পিয়ার্ডের ওপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে যাচ্ছি। এতে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষক প্রশিক্ষণের কার্যক্রম আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। আমাদের কাজ থেমে নেই। স্কুল যে রি-ওপেন করবো, কীভাবে চলবে স্কুলগুলো সেই বিষয়টি নিয়েও কাজ চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর