× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঈদের পর ক্রিকেট ফেরাতে প্রস্তুত বিসিবি, তবে...

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ জুলাই ২০২০, বুধবার

ক্রিকেটারদের অনুরোধে ব্যক্তিগত অনুশীলনের সময় দুইদিন বাড়ানো হয়েছিল। গতকাল শেষদিনে মাঠে এনামুল হক বিজয়কে দেখা গেল ট্রেইনারের সঙ্গে ঘাম ঝরাতে। সেই সঙ্গে ঈদের আগে ক্রিকেটারদের জন্য বন্ধ হয়ে গেল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দুয়ার। এখন প্রশ্ন- মাঠে ক্রিকেট ফিরছে কবে? ধারণা করা হচ্ছে ঈদের পর পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ক্যাম্প আয়োজন করবে। সেখানে অংশ নেবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। নারী দল, এইচপি ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের জন্যও রাখা হবে সুযোগ। সেভাবেই পরিকল্পনা ও ছক আঁকছে বিসিবি। যদিও এখনো সব পরিকল্পনা আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ।
ঠিক হয়নি দিনক্ষণ। তবে সুযোগ মিললে আর বসে থাকবে না দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা। তাই ধারণা করা হচ্ছে ঈদের পর ফের মুখর হবে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। এ বিষয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা এখনো ঠিক করতে পারিনি কীভাবে ক্রিকেট শুরু করবো। অনেকগুলো পরিকল্পনা হাতে আছে। সেটি জাতীয় দল থেকে শুরু করে সবার জন্য। কিন্তু এখনো আমরা কঠোর নিরাপত্তার চিন্তা থেকে সরে আসিনি। যদি করোনা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয় তাহলে বড় পরিসরেই শুরু হবে ক্রিকেট। আমরা প্রস্তুত আছি, এখন শুধু আপেক্ষা পরিস্থিতি উন্নতির।’
দেশের করোনা পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। করোনা জনজীনকে অস্থির করে রেখেছে এখনো। বিশ্বের কয়েকটি দেশ ক্রিকেট মাঠে ফেরালেও ঝুঁকি কমেছে তা বলতে পারবে না কেউই। এদিকে চার মাস মাঠের বাইরে থেকে টাইগার ক্রিকেটাররা ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন। তারা আর ঘরে বসে থাকতে চাইছেন না। তাই ঝুঁকি নিয়েই বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার বিসিবি’র ব্যবস্থাপনায় ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছেন এক সপ্তাহ। এই অনুশীলন পর্বকে মাঠে ক্রিকেট ফেরার ইঙ্গিত ভাবছেন অনেকে। কিন্তু ব্যাট-বল নিয়ে মাঠের আসল লড়াই কবে শুরু হবে এখনো অনিশ্চতায়। আকরাম খান জোর দিয়েই বললেন তারা কোনোভাবেই ঝুঁকি নেবেন না। তিনি বলেন, ‘দেখেন এটি সত্যি যে সফলভাবে আমরা ব্যক্তিগত একক অনুশীলন পরিচলনা করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের জন্য বড় আকারে সব ক্রিকেটারকে খেলায় ফেরানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমি বারবার বলছি বিসিবি কোনোভাবেই ক্রিকেটারদের জীবন নিয়ে ঝুঁকি নেবে না। যদি ঈদের পর বাস্তবিকভাবে পরিস্থিরি উন্নতি হয়, ঝুঁকি কমে আসে, তাহলে আমরা বড় পরিসরে যাবো। নয়তো  ছোট আকারে পরিকল্পনা নিয়ে চেষ্টা করবো ক্রিকেটারদের মাঠের সংস্পর্শে রাখতে।’
বিসিবি’র  মেডিকেল বিভাগের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের পর কীভাবে আমরা শুরু করবো সেটি এখনো নিশ্চিত হয়নি। বিসিবি’র প্রায় সব পরিচালকই আমাদের মেডিকেল বিভাগের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করছেন। সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে রেখে মাঠে ফেরানোর পরিকল্পনা তাদের। শুধু জাতীয় দল নয়, আমরা এইচপি, অনূর্ধ্ব-১৯, নারী দলসহ সবাইকে দ্রুত মাঠে ফেরাতে চাই। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। এত ক্রিকেটারকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিয়ে মাঠে ফেরানো কঠিন বিষয়। বিসিবি বসে নেই। এ নিয়ে নানা রকম কর্মপরিকল্পনা আমরা তৈরি করছি। আশা করি দ্রুতই ক্রিকেটারা মাঠে ফিরবে।’ মার্চে দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে সবধরনের ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যায়। স্থগিত হয় টাইগারদের আন্তর্জাতিক সিরিজগুলোও। যা পুনরায় আয়োজন করা বিসিবি’র জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। তাই ঈদের ছুটির পর ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্যাম্প আয়োজন ছাড়াও আলোচনায় আন্তর্জতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট। ধারণা করা হচ্ছে ১০ই আগস্টের পর ব্যস্ত হতে শুরু করবে ক্রিকেটাঙ্গন। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ, বিপিএল আয়োজন ও আন্তর্জাতিক সিরিজ নিয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেবে বিসিবি। দেখার বিষয় কতদিনে এ বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিলে টাইগারদের ক্রিকেটারদের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর