ফুসফুসে সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু। গতকাল ভোরে রাজধানীর এভার কেয়ার (এ্যাপোলো) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক এই ছাত্রনেতা (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। গতকাল সকালে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার সকালে মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতৃবৃন্দ তার কফিনে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জানাজার আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আজকে শফিউল বারী বাবুর জানাজায় উপস্থিত হতে হবে- এটা আমরা কল্পনাও করিনি। বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন না, তিনি বিএনপি’র একটা প্রাণ ছিলেন। অসংখ্য নেতাকর্মী সারা দেশে তার হাতে তৈরি হয়েছে এবং বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে এই ধরনের ত্যাগী, মেধাবী, বুদ্ধিমান, লেখাপড়া জানা নিবেদিতপ্রাণ নেতা খুব কমই আছে। বাবুকে হারিয়ে আমরা আমাদের একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম। এমন একটা সময়ে বাবু চলে গেল যখন করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব আজ তছনছ হয়ে গেছে। তার মধ্যে এই ফ্যাসিবাদী যাঁতাকলে পড়ে বাংলাদেশের মানুষ আজ মুক্তির পথ খুঁজছে। এই মুক্তির সংগ্রামে অন্যতম নায়ক ছিল শফিউল বারী বাবু। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বাবু করোনায় মারা যায়নি। বাবু ফুসফুসের সমস্যার কারণে হঠাৎ করে চলে গেছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল ও প্রয়াত বাবুর বড় ভাই সাহেদুল বারীও বক্তব্যে শফিউল বারীর অবদানের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী বাবু জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।