× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাজিব রাজাকের ১২ বছর কারাদণ্ড

প্রথম পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
২৯ জুলাই ২০২০, বুধবার

দুর্নীতির মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১২ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় ১এমডিবি তহবিলের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের বেশ কয়েকটি মামলার প্রথম মামলায় মঙ্গলবার কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে এ রায় দেন। এতে তার বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগের সবক’টিতেই তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নাজিব রাজাক নিজেকে নির্দেশ দাবি করলেও আইন তাকে ক্ষমা করেনি। তার বিরুদ্ধে আস্থা ভঙ্গ, অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত   হয়েছে। ফলে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তাকে ১২ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। অর্থ পাচার, আস্থা ভঙ্গ করাসহ অন্য ৬টি অভিযোগের প্রতিটিতে ১০ বছর করে জেল দেয়া হয়েছে।
এই সাজা একইসঙ্গে চলতে থাকবে। তার বিরুদ্ধে এই মামলাকে মালয়েশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টার একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখা হয়। এ খবর দিয়েছে মালয় মেইল ও বিবিসি। ১এমডিবি কেলেঙ্কারিতে মালয়েশিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ জড়িত। মঙ্গলবারের রায় দেয়া হয়েছে, তহবিলটি থেকে নাজিবের ব্যক্তিগত একাউন্টে ১ কোটি ডলার সরিয়ে নেয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে। উল্লেখ্য, নাজিব ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল অবধি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ক্ষমতায় থাকাকালেই এসব অপরাধের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ নাজলান মোহাম্মদ ঘাজালি মামলার রায়ে বলেন, মামলার সকল প্রমাণ বিবেচনায়, আমার দৃষ্টিতে প্রসিকিউশন তাদের অভিযোগ সফলভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে।
এদিকে, নাজিব সকল অপরাধ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, ক্ষমতায় থাকাকালে তার আর্থিক উপদেষ্টারা তাকে ভুল বুঝিয়েছিলেন। বিশেষ করে, পলাতক উপদেষ্টা ঝো লো’কে দায়ী করেন তিনি। রায় ঘোষণার আগে দোষী সাব্যস্ত হলে আপিল করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ (১এমডিবি) তহবিলটি গঠন করা হয় ২০০৯ সালে, নাজিব প্রথম ক্ষমতায় আসার পরপরই। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতেই তহবিলটি গঠন করা হয়। ২০১৫ সালে ব্যাংক ও বন্ডহোল্ডারদের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তহবিলটির কর্মকাণ্ড ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। মালয়েশিয়া ও মার্কিন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, তহবিলটি থেকে প্রায় ৪৫০ কোটি ডলার জালিয়াতি করা হয়েছে। চুরি হওয়া ওইসব অর্থ খরচ করা হয়েছে- বিলাসবহুল একটি রিয়েল এস্টেট, ব্যক্তিগত বিমান, বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী ভ্যান গগ ও মনেটের চিত্রকর্ম কিনতে। এমনকি একটি জনপ্রিয় হলিউড চলচ্চিত্রেও ওই তহবিলের অর্থ খরচ হয়েছে বলা জানান তদন্তকারীরা। গত সপ্তাহে মার্কিন ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্স এই দুর্নীতির ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা থেকে নিষ্কৃতি পেতে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে ৩৯০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছে।
ক্ষমতায় থাকাকালে এই দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট সকল অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছিলেন নাজিব। তা সত্ত্বেও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তার পরাজয়ের পেছনে অভিযোগগুলো বড় ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। তাকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসা প্রবীণ রাজনীতিক মাহাথির মোহাম্মদের নতুন সরকার কোনো বিলম্ব না করেই ফের ১এমবিডি দুর্নীতি ঘিরে তদন্ত চালু করে। এ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হন নাজিবের স্ত্রী রোজমাহ মানসুরও।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর