× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দলবদ্ধ অনুশীলন চান রুমানা

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৩০ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার

ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাঠে অনুশীলন শুরু করেছেন জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার। বিসিবি’র ব্যবস্থাপনায় ছেলেদের এই ট্রেনিং দেখে নারী দলও উদগ্রীব মাঠে ফিরতে। এর মধ্যে নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক বসে ছিলেন না। তার নিজ শহর খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম খোলা হয়েছিল ছেলেদের অনুশীলন করার জন্য। সেই সুযোগে খুব ভোরে তিনিও চলে গেছেন স্টেডিয়ামে। একা একাই সেরে নিয়েছেন অনুশীলনটা। তাই বলা যায় অন্যদের তুলনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে তিনি। তবে একা একা অনুশীলনটা ভালো লাগেনি এই নারী ক্রিকেটারের।
তার চাওয়া ঈদের পর যেন দলবদ্ধভাবে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয় তাদের জন্য। আর সুযোগ হলেতো খেলাই শুরু করে দিতে চান রুমানা। অন্যদিকে বিসিবি নারী বিভাগও এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে মেয়েদের মাঠে আনার। বার্তা দিয়ে চাওয়া হয়েছে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করতে ইচ্ছুকদের তালিকাও। এ বিষটি নারী বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল নিশ্চিত করেছেন দৈনিক মানবজমিনকে। তিনি বলেন, ‘দেখেন নারী দল নিয়ে আমাদের চিন্তা বেড়েই চলছে। কারণ ওদের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ এমনিতেই কম। তার মধ্যে চার মাসের বেশি সময় ধরে মাঠে নেই। এতে করে ওদের শারীরিক ও মানসিক দু’টিই ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। তাই আমরা চিন্তা করেছি যদি ঈদের পর পরিস্থিতি ভালো হয় তাহলে বড় পরিসরে ক্যাম্প আয়োজন করবো। আর যদি করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে ছেলেদের মতো করে ব্যক্তি অনুশীলনের ব্যবস্থা করবো।’ এরই মধ্যে নারী বিভাগ থেকে ব্যক্তিগত অনুশীলনে অংশ নেয়ার জন্য ইচ্ছুকদের নাম চাওয়া হয়েছে। যারা করতে চাইবে তাদের জন্য বিসিবি ব্যবস্থা করবেন মাঠে এসে অনুশীলন ও জিম করার। নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ অনুশীলনে ফেরার নিয়ে বলেন, ‘আর কত দিন সবাই বসে থাকবো! অনেক তো হলো। আমি যখন ছেলেদের জন্য খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম খুলেছে তখন ভোরে চলে গিয়ে অনুশীলন করে আসতাম। তিনদিন আগে নারী বিভাগ থেকে আমাদের বার্তা দিয়েছে ঈদের পর চাইলে আমরা ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করতে পারবো। তবে আমি একটু আগেই শুরু করেছি।’ অন্যদিকে একক অনুশীলনে খুব একটা মন ভরেনি রুমানা আহমেদের। তার মধ্যে ক্রিকেট যেহেতু একজনের খেলা নয়, তাই গ্রুপ অনুশীলন হলেও দারুণ হবে। তিনি বলেন, ‘আসলে একা একা অনুশীলন করে ক্রিকেট খেলা কঠিন। দেখেন ক্রিকেট কিন্তু দলবদ্ধ খেলা এখানে একা একা উন্নতি করা কঠিন। হ্যাঁ কিছু ফিটনেসের উন্নতি হবে। কিন্তু দলবদ্ধভাবে হলে ভালো হবে। সবার সঙ্গে নিজেদের ভুল-ত্রুটিগুলো শেয়ার করা যাবে। মানসিকভাবেও ভালো লাগবে। এছাড়াও নারী দলকে চাঙ্গা রাখতে মনোবিদ নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। ছেলেরা যখন মাঠে অনুশীলন করছে মেয়েরা তখন মনোবিদের কাছে মন্ত্র নিয়েছেন মানসিকভাবে উৎফুল্ল থাকার। কতটা উপকারে এসেছে মনোবিদের ক্লাস তা নিয়ে রুমানা বলেন, ‘দারুণ হয়েছে মনোবিদের ক্লাস। তার করানো সেশন থেকে এখন আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। মাঠে ফিরে আমাদের মানসিকভাবে দ্রুত মানিয়ে নিতে খুব বেশি সময় লাগবে না। সত্যি কথা বলতে কি মানসিকতাই আসল। যদি এটি শক্ত রাখি তাহলে এতদিনের যে ঘাটতি তা পুষিয়ে যাবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর