× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আমি সত্যিই জানি না কেন নিষিদ্ধ হয়েছিলাম: আজহার

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার

ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এক সফল অধিনায়ক ছিলেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। সাবেক এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান সবার কাছে কবজির মোচড়ে নান্দনিক ব্যাটিংশৈলী উপহার দেওয়ার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০০ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আজহারউদ্দিনকে আজীবন নির্বাসিত করে। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন তখনকার ভারতীয় দলের আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। এক যুগ আইনি লড়াইয়ের পর সেই অপবাদ থেকে মুক্তিও মিলেছে তার। কিন্তু কেন তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা নাকি এখনও জানেন না সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘যা ঘটেছে সেটার জন্য কাউকে দোষী সাব্যস্ত করব না। কিন্তু আমি সত্যিই জানি না কেন নিষিদ্ধ হয়েছিলাম।’

২০১২ সালে আদালতের রায়ে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় কলঙ্কমুক্তও হয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৪টি ওয়ানডেতে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া আজহার। ম্যাচ ফিক্সিং, আজীবনের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হওয়া, আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বিয়ে-বিচ্ছেদ, সব মিলিয়ে ক্রিকেটার আজহারউদ্দিনের জীবন উত্থান-পতনে পূর্ণ। ক্রিকেট ছাড়ার পর রাজনীতিতে নেমেছেন, ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন সংবাদমাধ্যমে। কংগ্রেসের হয়ে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ আসনে জিতলেও ২০১৪ সালে সাওয়াই মাধোপুর আসনে তিনি হেরে যান। ২০১৯ সালে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এক যুগ পরে হলেও আমি মুক্তি পেয়েছি। হায়দ্রাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর খুবই খুশি হয়েছি।
বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভাতেও আমি এখন উপস্থিত থাকি। যা আমাকে তৃপ্ত করে।’

২০১৯ সালে আজহারউদ্দিনের নামে ভারতের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটি স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়। এরপর ইডেন গার্ডেনে ভারতের এক ম্যাচে ঘণ্টা বাজিয়েছেন তিনি। ভারতের প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচে সাবেক ক্রিকেটারদের যে গ্রুপটিকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে আজহারউদ্দিনও ছিলেন।  

৯৯টি টেস্ট খেলে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল। আজহারউদ্দিন জানতেন না যে টেস্ট ম্যাচের সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ ম্যাচ দূরে থাকতেই ক্যারিয়ার শেষ হবে তার। কিন্তু এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই সাবেক এই অধিনায়কের। বরং ১০ বছর ভারতের অধিনায়কত্ব করতে পেরেই খুশি তিনি, ‘আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি এবং ভাগ্যে যা লেখা থাকবে তাই হবে। আমি বিষয়টা এভাবে দেখি, এখন যেকোনো ভালোমানের খেলোয়াড় ১০০-এর বেশি টেস্ট খেলে। প্রায় ১৬-১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছি এবং প্রায় ১০ বছর নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি এর চেয়ে বেশি আর কি চাইতে পারি?’

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর