সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চীন থেকে ‘বিচ্ছেদ উস্কানির’ অভিযোগে হংকংয়ে চার শিক্ষার্থীকে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১লা জুলাই হংকংয়ের জন্য আইনটি প্রণয়ন করে চীন। আইনটির আওতায় প্রথম পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তারের ঘটনা এটি। এর আগে স্লোগান দেয়া ও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভের কারণে আইনটির আওতায় গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।
হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থি একটি দল জানিয়েছে, গ্রেপ্তার করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের সাবেক নেতা টনি চাংও রয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, চীনের নতুন আইনটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। এর আওতায় পরাভব, বিচ্ছেদ ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, এই আইন হংকংয়ের স্বাধীনতা হরণ করেছে। তবে বেইজিং সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, হংকংয়ে ২০১৯ সালের মতো স্বাধীনতাপন্থি বিক্ষোভ থামাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এই আইন। মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা চার শিক্ষার্থীদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিন জন পুরুষ।
পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চীন থেকে হংকংয়ের বিচ্ছেদ সংগঠন ও উস্কে দেয়ার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। হংকং পুলিশের লি কোয়াই-ওয়াহ বলেন, আমাদের সূত্র ও তদন্তে দেখা গেছে যে, আমাদের দলটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থিদের একটি সংগঠন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কম্পিউটার, ফোন ও নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতাপন্থি তরুণদের দল স্টুডেন্টলোকালিজমের সদস্য ছিলেন বা দলটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। দলটি গত জুনে ভেঙে দেয়া হয়। ৎ
এদিকে, হংকংয়ের বিশিষ্ট তরুণ অধিকারকর্মী জশুয়া ওং জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের আগে স্টুডেন্টলোকালিজমের সাবেক নেতা চাংকে বেশ কয়েকদিন ধরে অনুসরণ করছিল পুলিশ। তিনি বলেন, চাংকে একটি ফেসবুক পোস্টে ‘চীনের জাতীয়তাবাদ’ নিয়ে লেখায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তারের পরপরই তাদের ফোন হ্যাক করা হয়। ওং এক টুইটে লিখেন, আজকের এই গ্রেপ্তার হংকংজুড়ে অনলাইনে বক্তব্য রাখার বিষয়ে স্পষ্ট ও শিহরণ জাগানিয়া বার্তা পাঠাবে।