বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা শিবিরে নিয়মিত খাদ্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা ডব্লিউএফপি। গত জুন মাসে উনচিংপ্রাং শিবিরে নতুন একটি ই-ভাউচার আউটলেট খুলেছে সংস্থাটি। এরফলে সমগ্র শিবিরে তাদের ই-ভাউচার আউটলেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে। একইসঙ্গে রয়েছে ৩৬টি বিতরণ কেন্দ্রও। নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক আপডেটে এসব তথ্য জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।
এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যেই ডব্লিউএফপি শিবিরের শতভাগ রোহিঙ্গার কাছে পর্যায়ক্রমে ই-ভাউচার সহযোগিতা পৌঁছানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। শুধুমাত্র জুন মাসেই ই-ভাউচার আউটলেটগুলো থেকে ৯ মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় ওই আপডেটে। এসময় অন্তত ৫৭৮টি পরিবারে খাদ্য ও উচ্চ শক্তিসম্পন্ন বিস্কিট দিয়ে সহযোগিতা করে ডব্লিউএফপি। একইসঙ্গে র্যাপিড রেসপন্স এসিস্টেন্সের মাধ্যমে ৪,৬২০ টি খাবার বিতরণ করা হয়।
রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডব্লিউএফপি। জরুরি পরিস্থিতিতে যাতে শিবিরে থাকা সব রোহিঙ্গাদের ৬ সপ্তাহ ধরে খাবার নিশ্চিত করা যায় সেই পরিমাণ মজুদ রয়েছে ডব্লিউএফপির কাছে। বর্ষাকালে শিবিরজুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনা মেরামতে কাজ করছে ডব্লিউএফপি। এ জন্য তারা একটি কর্ম পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে।
আপডেটে জানানো হয়, ব্রাক ও একশন এইডের সহযোগিতায় রোহিঙ্গাদের জন্য মাস্ক তৈরি করছে ডব্লিউএফপি। ৯৫ জন রোহিঙ্গা নারীকে দিয়ে এখন পর্যন্ত ৯২ হাজারের বেশি মাস্ক উৎপাদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয়দের জন্যও মাস্ক সরবরাহ করেছে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিবিরে ৫৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। শিবিরে পরীক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।