× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এবার অর্ধেকে নেমে এসেছে কাজ ও বিক্রি

বাংলারজমিন

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
৩১ জুলাই ২০২০, শুক্রবার

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কামারপল্লীতে দিন দিন বাড়ছে ব্যস্ততা। গতবারের তুলনায় এবার অর্ধেকে নেমে এসেছে কাজ ও বিক্রি। ঈদুল আজহা এলেই কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করে এবং বাড়তি আয় হয় কামার শিল্পীদের। গতবারের চেয়ে এবার বিক্রি তুলনামূলক কম। সংসার চালানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে কামার শিল্পীদের। অনেক কামার তাদের পেশা বদলানোর চেষ্টা করছেন বা করেছেন। কারণ হিসেবে করোনা দুর্যোগকে দায়ী করছেন তারা। ভাতির ফাসফুস আর হাতুড়ি পেটার টুং টাং শব্দে মুখর এখন কামারশালাগুলো।
হাঁপরে আগুনের শিখা আর  হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে তৈরি হচ্ছে দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি। কামাররা লোহা পুড়িয়ে লাল করে হাতুড়ি দ্বারা পিটিয়ে ছুরি, দা, বঁটি ও চাপাতি তৈরি করে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে থাকে। গ্রাম থেকে শহর, সবখানেই কামারদের এই ব্যস্ততা লক্ষণীয়। স্থায়ী কামারের দোকানের পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন হাটবাজারে বসেছে অস্থায়ী কামারের দোকানও।
সরজমিন কামারপল্লী ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আজহা আসন্ন হওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। কেউ দা, ছুরি, বঁটিসহ মাংস কাটার জন্য নানা ধরনের সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আবার কেউ সেগুলোকে ধারালো করছেন। আবার কেউ কেউ তা ধুয়ে মুছে বিক্রির জন্য আকর্ষণীয় করছেন। এ অবস্থার মধ্যে সাধারণ মানুষও আসছেন পুরনো সরঞ্জাম চকচকে কিংবা ধারালো করতে। এদের মধ্যে আবার কেউ নতুন করেই তৈরি করে নিচ্ছেন দা, ছুরি ও বঁটি। যার ফলে রাত-বিরাত বেড়েই চলছে কামারদের ব্যস্ততা। রাণীরবন্দরে কামারপল্লীতে আসা ক্রেতা ওবায়দুর রহমান, আনিছুর রহমান, নুরুল আলম বলেন, প্রতি বছরই কোরবানি দিচ্ছি। আগের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো শান দিতে এসেছি। অন্য সময়ের থেকে বর্তমানে কামাররা দাম একটু বেশি নিচ্ছেন। তবুও আমরা মেনে নিচ্ছি। চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দরে কামারপল্লীর আশিষ চন্দ্র রায়, রবীন্দ্র চন্দ্র রায় বলেন, বংশপরম্পরায় আমরা কামার পেশার সঙ্গে জড়িত। বছরের বেশির ভাগ সময়ই আমাদের অলস সময় কাটাতে হয়। পুরো বছরের মধ্যে কেবল কোরবানি ঈদেই একটু ভালো কাজ হয়। গত বছর কোরবানির পশু কাটতে ছোট বড় চাকু, ছোরা ও চাপাতির দাম বেশি ছিল। তবে এ বছর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে এখনো তেমন কাজ হচ্ছে না। যা হয় তাতে পুষিয়ে ওঠা যায় না। নতুন জিনিস খুব কম লোকই কিনছেন। সবাই পুরাতন দা, ছুরি ও বঁটি শান দিয়ে নিচ্ছেন। তারা আরো জানান, এবার কাজের অর্ডার খুব কম। প্রতিদিন সকাল হতে রাত অবধি সরঞ্জাম তৈরির কাজ করছি। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় সেগুলো অবিক্রীত থাকছে। একই কথা বলেন অন্যরাও। তাদের দাবি, কামারপল্লীতে ব্যস্ততা বাড়লেও করোনা দুর্যোগে কমেছে সরঞ্জাম বেচাকেনা। এ কারণে হাসি নেই কামারদের মুখে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর