করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ টেনিসও । চলতি মাসে ছোট কয়েকটি টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলেও বাতিল হয়ে গেছে উইম্বলডনসহ বেশকিছু টেনিসের বড় আসর। তবে ইউএস ওপেন শুরু হচ্ছে আগামী ৩১শে আগস্ট। আরেক গ্র্যান্ড স্লাম আসর ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরুর তারিখ নির্ধারিত আছে ২৭শে সেপ্টেম্বর। ২০২১ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হতে এখনো পাঁচমাস বাকি। তবে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে আয়োজকরা। ইউএস ও ফ্রেঞ্চ ওপেনে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি নেই। তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন স্টেডিয়ামে বসেই দেখার সুযোগ পেতে পারেন টেনিসপ্রেমীরা।
এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন টেনিস অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী ক্রেগ টিলে।
টেনিসের আগামী আসরগুলো কীভাবে মাঠে গড়াবে সেটার একটা ধারণা মিলবে ইউএস ওপেনে। টেনিস অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারাও সেটার অপেক্ষায়ই রয়েছেন। ক্রেগ টিলে বলেন, ‘সবশেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রেকর্ড ৮ লাখেরও বেশি দর্শক স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেছেন। পরের আসরে নিশ্চিতভাবেই সেটা হচ্ছে না। খুবই কম সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে ২০২১ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হবে। বিদেশি দর্শকরা সম্ভবত আগামী আসর স্টেডিয়ামে বসে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না। আমরা ইউএস ও ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরুর অপেক্ষায়। এই দুই টুর্নামেন্ট থেকে একটা ধারণা পাওয়া যাবে; কিভাবে টেনিস শুরু করা যায় সে ব্যাপারে।’
কিছু পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করেছে টেনিস অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় সাড়ে ৬ হাজার দর্শককে প্রতিদিন খেলা দেখার অনুমতি দেয়া হতে পারে। খেলোয়াড়দের থাকতে হবে আয়োজকদের নির্ধারণ করে দেয়া হোটেলে। যেখানে থাকবে সুরক্ষিত পরিবেশ। স্টেডিয়ামে যাওয়া-আসার জন্য থাকবে বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা। অস্ট্রেলিয়ায় এসে ১৪ দিনের কোয়ারিন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। সপ্তাহে দুইবার থাকবে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যবস্থা।