× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনিশ্চিত প্রিমিয়ার হকি!

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৩১ জুলাই ২০২০, শুক্রবার

২০১৯ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নতুন কমিটি আসার পর আশার আলো দেখা যায় বাংলাদেশের হকিতে। তাদের মূল প্রতিশ্রুতি ছিল নিয়মিত প্রিমিয়ার হকি লীগ আয়োজন করা। কিন্তু এখনো সুবাতাস লাগেনি হকিতে। প্রিমিয়ার লীগ দূরের কথা, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ লীগও আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে ঘরোয়া অন্যান্য খেলাধুলার মতো বন্ধ হকিও। বৈশ্বিক মহামারি কেটে গেলেও যে হকিতে নতুন সূর্যোদয় হবে তা বলা যাচ্ছে না। ফেডারেশনের সদিচ্ছা এবং ক্লাবগুলোর আর্থিক দৈন্যতাই প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে হকিতে।
প্রিমিয়ার বিভাগ হকি সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালে।
এরপর চেয়ার নিয়ে টানাটানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়া কর্মকর্তাদের কারণে হকির নীল টার্ফে ছিল শুধুই হাহাকার। গত বছর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একেএম মমিনুল হক সাঈদ নির্বাচিত হওয়ার পর পুনরায় লীগ চালুর উদ্যোগ নেন। কিন্তু সেপ্টেম্বরে মতিঝিল ক্লাব পাড়ার ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে তার নাম আসার পর বিদেশে অবস্থান করা সাঈদ আর দেশে আসেননি। কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে না পারায় ইতিমধ্যে ফেডারেশন থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠানো হয়েছে। আর এই নোটিশের জবাবে সাঈদ উল্টো আইনি নোটিশ পাঠান। স্থবির হয়ে পড়া হকিতে এখন শুরু হয়েছে ক্ষমতার লড়াই। এমন অবস্থায় কর্মকর্তাদের চোখ এখন মাঠের বাইরের ইস্যুর দিকে।
তারপরেও অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলের ক্যাম্প শুরুর পরিকল্পনা করেছে ফেডারেশন। করোনায় স্থগিত হয়ে গেছে জুনিয়র এশিয়ান হকি। সেই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য মাঠে নামছেন খেলোয়াড়রা। প্রিমিয়ার হকি লীগ চালু করার ব্যাপারে তারা খুব একটা উৎসাহী নয়। খেলোয়াড়দের চাপে মাঝে লীগ আয়োজনের কথা বলেও এখন বেঁকে বসেছে ক্লাবগুলো। করোনার কারণে অনেক ক্লাবেরই আর্থিক অবস্থা খারাপ। এ বিষয়ে ফেডারেশন সহ-সভাপতি জাকি আহম্মেদ রিপন বলেন, ‘প্রিমিয়ার হকি ছাড়া অন্য টুর্নামেন্ট আয়োজন করে কোনো লাভ হবে না। আমরা সবাই মিলে হকি ফেডারেশনের সভাপতিকে (এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত) বলেছি যে, যখনই হকি শুরু হবে তখনই লীগটা যেন চালু করা হয়। সভাপতিও চাচ্ছেন লীগ চালু করতে। কিন্তু ক্লাবগুলো থেকে খুব একটা সাড়া পাচ্ছি না।
হকি লীগ চালু করতে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক সাঈদের অনুপস্থিতিতে বেকায়দায় পড়েছে অনেক ক্লাব। তিনি একাই কয়েকটি ক্লাব পরিচালনা করেন। লীগ কমিটি গঠন করলেও করোনার কারণে এখনো পর্যন্ত কোনো মিটিং হয়নি। ফেডারেশনে সাঈদের অভাব অনুভব হচ্ছে বলে মনে করেন সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ শিকদার। তিনি বলেন, ‘যদি ক্লাবগুলো খেলতে না চায়, তাহলে লীগ চালু করা কঠিন হয়ে পড়বে। ক্লাবের অংশীদার, স্পন্সর এবং খেলোয়াড়দেরও এগিয়ে আসতে হবে। এটা ঠিক করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান যে করোনা পরবর্তী সময়ে হকিতে যুক্ত হতে চাইবে না তা বলা যায়। কারণ অধিকাংশ ক্লাব চলে ব্যক্তিগত অনুদানে এবং পৃষ্ঠপোষক দ্বারা। তারা এগিয়ে না এলে ক্লাবগুলোও লীগে খেলতে চাইবে না।’ এমন অবস্থায় সরকারের সাহায্য চাইছেন হকি ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হুমায়ুন। বলেন, ‘যদি সব ক্লাব অংশ নেয়, তাহলে আমরাও লীগে খেলবো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আমাদের পক্ষে অর্থ সংগ্রহ করা কঠিন। যদি সরকার ছোট  ক্লাবগুলোকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে, তাহলে দল গঠন করে প্রিমিয়ার হকিতে আমরা খেলতে পারবো।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর