× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফের টালমাটাল মালয়েশিয়ার রাজনীতি

প্রথম পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
৩১ জুলাই ২০২০, শুক্রবার

আবার টালমাটাল মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন জোট। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে দুর্নীতির দায়ে ১২ বছরের জেল দেয়ার পর তার দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এইএমএনও) ক্ষমতাসীন জোট থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে  গতকাল বৃহস্পতিবার। তবে তারা সরকারকে সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে বলেও   জানিয়েছে। যতই সরকারকে সমর্থন দেয়ার কথা বলুক ইউএমএনও, এর ফলে মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিনের প্রশাসনের স্থিতিশীলতায় বড় আঘাত লাগবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় ‘১ মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ’ (১ এমডিবি) তহবিল থেকে কয়েক শত কোটি ডলার আত্মসাৎ করার কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ইউএমএনও’র সাবেক প্রেসিডেন্ট নাজিব রাজাককে ১২ বছরের জেল ও জরিমানা করা হয়। স্পষ্টত এতে নাখোশ তার দল। মুখে প্রকাশ্যে এ নিয়ে কিছু না বললেও বুঝে নেয়া যায় এ কারণেই ক্ষমতাসীন সরকারের জোট ছাড়ছে ইউএমএনও।
প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিনের জোটে সবচেয়ে বড় অংশ হলো ইউএমএনও। সরকার টিকে থাকতে তাদের সমর্থন মুহিদ্দিনের জন্য অত্যাবশ্যক। সরকারকে বেঁচে থাকতে হলে তাদের সমর্থন প্রয়োজন। পার্লামেন্টে বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোটের মাত্র দু’টি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। যদি এ অবস্থায় সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউএমএনও, তাহলে কুপোকাত হতে হবে মুহিদ্দিন ইয়াসিনকে।
মাত্র ৫ মাস আগে রাজনীতির খেলায় হতাশাজনক এক পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করেন আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। এরপরই পারিকাতান ন্যাশনালের ব্যানারে মুহিদ্দিনের বারসাতু দলের সঙ্গে হাত মেলায় ইউএমএনও। ফলে নতুন সরকার গঠন করে তারা। এমন রাজনীতিকে পার্লামেন্টারি অভ্যুত্থান বলে আখ্যায়িত করা হয়। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুহিদ্দিন ইয়াসিন তারই দলের বর্ষীয়ান নেতা মাহাথির মোহাম্মদকে নকআউট করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। নিজে হন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মঙ্গলবার নাজিব রাজাককে দেশটির আদালত ওই শাস্তি দেয়ার পর সেই আত্মবিশ্বাসে চির ধরেছে। তারই ফল হিসেবে পারিকাতান ন্যাশনাল জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউএমএনও। তারা বলেছে, জোট ত্যাগ করলেও তারা ক্ষমতাসীন সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন অব্যাহতভাবে দিয়ে যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ দলের প্রেসিডেন্ট আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেছেন, পারিকাতান ন্যাশনালের অংশ না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএমএনও। দলটি এখন মুয়াফাকাত ন্যাশনাল প্যাকের অধীনে ইসলামপন্থি পার্টি পিএএসের সঙ্গে অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করার দিকে দৃষ্টি দেবে। ওদিকে মুয়াফাকাত প্যাকের অংশীদার হতে বারসাতু দলকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন। তবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে মুহিদ্দিনের অফিস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্যও পাওয়া যায়নি। নিরপেক্ষ পোলস্টার মেরদেকা সেন্টারের ইব্রাহিম সুফিয়ান বলেছেন, নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে যে রায় দেয়া হয়েছে তার প্রতিশোধ নিতেই জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত ইউএমএনও নিয়ে থাকবে বলে মনে হচ্ছে। যদিও নাজিব আর দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন না, তবু তিনি উচ্চমাত্রায় প্রভাব বিস্তার করে আছেন।
ইব্রাহিম সুফিয়ান বলেছেন, যেহেতু জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউএমএনও, তাই মুহিদ্দিনকে পার্লামেন্টে সমর্থন দিতে এখন আর বাধ্য নন এই দলের এমপিরা। মুখে তারা সরকারকে যতই সমর্থন দেয়ার কথা বলুক। এটা হতে পারে রাজনীতির কৌশল। ইব্রাহিম সুফিয়ান বলেন, জোটের সঙ্গে তাদের এখন আর কোনো সম্পর্ক নেই। এর অর্থ হলো ইউএমএনওর এমপিরা যেকোনো সময় ‘ওয়াক অফ’ করতে পারেন। এতে যেকোনো সময় সরকার ধসে পড়তে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর