আইসিস বধু বলে পরিচিত শামীমা বেগমকে বৃটেনে ফেরত পাঠানো নিয়ে বৃটিশ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমোদন পেয়েছে সরকার। এর আগে এক আদেশে বলা হয়েছিল, নিজের নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বৃটেনে ফিরতে দেয়া উচিত শামীমাকে। কিন্তু সরকার এর বিপক্ষে। তাই এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ইউকে কোর্ট অব আপিল রায় দিয়েছে যে, শামীমাকে বৃটেনে ফিরতে দেয়ার আগে এ নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলতে দেয়া উচিত। কারণ, এ বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টির সমাধান শুধু সর্বোচ্চ আদালতই করতে পারে। ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
এতে বলা হয়, শামীমাকে লন্ডনে ফেরত পাঠানোর অনুমতি দেয়ার বিরুদ্ধে আপিল আবেদনে অনুমতি পেয়েছে বৃটিশ সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে অন্য দু’জন বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডন থেকে পালিয়ে যান শামীমা বেগম। সেখানে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে তিনি বিয়ে করেন ডাচ আইএস যোদ্ধা রিদজককে। একে একে তিনটি সন্তানের মা হন তিনি। কিন্তু অপুষ্টির কারণে তিনটি সন্তানই মারা যায়। তিনি বৃটেনে ফিরতে চাইলে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে সরকার। তা নিয়ে অব্যাহতভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন শামীমা। অবশেষে তিনি বৃটেনে ফিরে মামলা লড়ার অনুমোদন পান। কিন্তু সরকার এমন সিদ্ধান্তে আপিল করার অনুমতি চায় আদালতে।
কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করা স্যার জেমস ইয়াদি আদালতে বলেন, এ মামলায় বড় একটি ইস্যু আছে। যখন কেউ তার নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার বিষয়ে আপিল করার সুষ্ঠু পরিবেশ পাবেন না তখন কি ঘটবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমন ব্যক্তি বিদেশে গিয়ে অথবা দেশে অবস্থান করে যদি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোতে যুক্ত হয়ে থাকেন। ইউকে কোর্ট অব আপিলের তিন বিচারকের প্যানেলের প্রধান লেডি জাস্টিস কিং এ সময় সরকারকে আপিল করার অনুমোদন দেন।