× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কনজার্ভেটিভ সিনিয়র এমপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) আগস্ট ২, ২০২০, রবিবার, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

হাউজ অব কমন্সের সাবেক গবেষক এক যুবতীকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির কারণে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের একজন শীর্ষস্থানীয় এমপি’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বৃটিশ সরকারের সাবেক একজন মন্ত্রী। তাকে গ্রেপ্তার করে পূর্ব লন্ডনে একটি পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছে। এ সময়ে আলাদা একটি স্থানে গতকাল অভিযোগকারী ওই যুবতীর সাক্ষাতকার নিয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কর্মকর্তারা। তার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে রক্ষণশীল কনজার্ভেটিভ পার্টিতে হতাশা দেখা দিয়েছে। এমন অভিযোগ শুনে এ দলের একজন সিনিয়র রাজনীতিক পর্যন্ত কেঁদে ফেলেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
অভিযোগ আছে প্রায় একমাস আগে অভিযোগ জানানো হয়েছিল কনজার্ভেটিভ পার্টির চিপ হুইপ মার্ক স্পেন্সারকে।
কিন্তু তিনি ওই এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য তার ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত রাতে মার্ক স্পেন্সার বলেছেন, ওই যুবতী অশোভন আচরণ ও হুমকির অভিযোগ করেছিলেন। তবে যৌন হয়রানির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে বলে মনে করেন না তিনি।
অভিযোগকারী যুবতীর অভিযোগ, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে এ বছর জানুয়ারির মধ্যে চার দফা তিনি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, যার জন্য তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ওই এমপির মন্তব্য পাওয়া যায় নি। গত রাত পর্যন্তও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় নি। ওই যুবতীর এক বন্ধু বলেছেন, ওই রাজনীতিকের সঙ্গে ‘বিষাক্ত’ যৌন সম্পর্কে জড়িত ছিলেন তার বান্ধবী। তার সঙ্গে এটা করা হয়েছিল ক্ষমতার জবরদস্তি আর অসাঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োগের মাধ্যমে।
তাদের মধ্যে বিনিময় হওয়া শত শত টেক্সট ম্যাসেজ উদ্ধার করে তা পর্যালোচনা করেছে পুলিশ। এ থেকে ধারণা করা হয়, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক মারাত্মক পর্যায়ে ছিল। মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা ওই যুবতীকে গতকাল ৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এর মাত্র কয়েকদিন আগে কনজার্ভেটিভ পার্টির ডোভার আসনের সাবেক এমপি চার্লি এলফিকে’র বিরুদ্ধে তদন্তের খবর প্রকাশ হয়। অভিযোগ আছে, নয় বছরের ব্যবধানে দু’জন যুবতীকে তিন দফা যৌন নির্যাতনের জন্য দায়ী তিনি। এ অভিযোগে স্ত্রী নাতালির সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে।
গত রাতে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ৩১ শে জুলাই মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্ভিস যৌনতা সম্পর্কিত চারটি আলাদা আলাদা অভিযোগ পেয়েছে। এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে লন্ডনে ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারির মধ্যে। এর বিপরীতে তদন্ত শুরু করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। শনিবার ১লা আগস্ট ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে পূর্ব লন্ডনে একটি পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছে। অভিযোগকারীর এক বন্ধু বলেছেন, ওই এমপি তার বান্ধবীর জীবনকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলেন। হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তিনি যদি এসব অভিযোগ কখনো জনসমক্ষে প্রকাশ করেন, তাহলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। ফলে ওই এমপির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন তিনি। এটা ছিল এক নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি। যেখানে ওই এমপি তাকে ‘আনগ্রেটফুল লিটল বিচ’ বলে আখ্যায়িত করতেন। তিনি তার ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন এবং তা ব্যবহার করে তার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতেন।
এক মাস আগে চিফ হুইপ মার্ক স্পেন্সার ও হাউজ অব কমন্সের নেতা জ্যাকব রিজ-মগের কাছে প্রথম এ অভিযোগ উত্থাপন করেন কনজার্ভেটিভ পার্টির একজন এমপি। কিন্তু মার্ক স্পেন্সার এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেন নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর