× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ওরে পাগল...

অনলাইন

শামীমুল হক
(৩ বছর আগে) আগস্ট ২, ২০২০, রবিবার, ১২:১২ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি

কেউ হাসতে পাগল। কেউ হাসাতে পাগল। কেউ কাঁদতে পাগল। কেউ কাঁদাতে পাগল। আবার কেউ খেতে পাগল। কেউ খাওয়াতে পাগল। কেউ দিতে পাগল। কেউ নিতে পাগল।
কেউ টাকার পাগল। কেউ টাকা বিলাতে পাগল। কেউ নিতে পাগল। কেউ দিতে পাগল। কেউ আবার অন্যকে ঘায়েল করতে পাগল। কেউ দেখে পাগল। কেউ শুনে পাগল। কেউ নাচতে পাগল। কেউ নাচাতে পাগল। কেউ ধরতে পাগল। কেউ ছাড়তে পাগল। কেউ বলতে পাগল। কেউ বলাতে পাগল। কেউ নেশার পাগল। কেউ নেশা তাড়াতে পাগল। কেউ লোক দেখাতে পাগল। কেউ কাজের পাগল। কেউ অকাজের পাগল। কেউ ভালবাসার পাগল। কেউ প্রেমের পাগল। কেউ বিরহে পাগল। কেউ আবেগে পাগল। কেউ সুখে পাগল। কেউ দুখে পাগল। কেউ প্রভাব আকড়ে রাখতে পাগল। কেউবা প্রভাব কেড়ে নিতে পাগল। কেউ অভাবে পাগল। কেউ স্বভাবে পাগল। এই স্বভাবে পাগল নিয়েই হলো যত সমস্যা। এ ধরণের পাগল নিজেরটা ষোল আনা বুঝে। আর নিজে যা বুঝে তা-ই ফাইনাল। এখানে অন্যকোন কথা চলবেনা। এ ধরণের পাগলের কিছু সমর্থকও থাকে। যারা তাকে সমর্থন দিয়ে আরও পাগল বানিয়ে ফেলে। অবশ্য তারা নিজেকে পাগল বলতে রাজি নন। মানতেও রাজি নন। এ জাতীয় পাগলরা সবকিছুতে নাক গলাতে ওস্তাদ। যে কোন বিষয়ে বাম হাত ঢুকিয়ে দেয়। এতে মূল বিষয় হয়ে পড়ে দূষিত। নিজের পান্ডিত্য জাহির করতে নানা কসরত করে। তাদের এ কসরত দেখে হাসেন সবাই। এ ধরণের পাগল সমাজটাকে একেবারে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের কিছুতেই বোধদয় হয়না। বরং এমন পাগল হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ব করেন। কখনো কখনো উদাহরণ দেন, সম্রাট শাহজাহান যদি স্ত্রীর জন্য পাগল হয়ে তাঁজমহল বানাতে পারেন তাহলে আমরা পাগল হলে সমস্যা কি? পরক্ষনেই কেউ যদি তাকে পাগল বলেন, এতেও ক্ষিপ্ত হন তিনি। বলেন, আমি পাগল কে বলেছে? এটা বলা অন্যায়। মহাপাপ। আসলে পৃথিবীতে বার রকমের পাগলের বসবাস। প্রত্যেকেই কোন না কোন ভাবে পাগল। তবে প্রশ্ন হলো- পাগলের বিষয় নিয়ে। সমাজে দেখা যায়, কেউ নিজের খেয়ে অন্যের মঙ্গলের জন্য পাগল। নানাভাবে তারা সমাজের জন্য পাগল হয়ে কাজ করছেন। আবার কেউ পাগল হয়ে বৃদ্ধাশ্রম খুলেছেন। সন্তান কর্তৃক বিতাড়িত অনেক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের নিয়েই এ ধরণের পাগলের সংসার। এমন পাগলকে মানুষ শ্রদ্ধা করেন মন থেকে। আবার কেউ অসুস্থ রোগীকে সুস্থ করতে পাগল। নিজের টাকা দিয়ে অসহায় রোগীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কেউবা মানুষের সহায়তায় এ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। আবার কেউ ভালবাসা বিলিয়ে দিতে পাগল। ভালবাসা দিয়ে সমাজকে বদলে দেয়ার চেষ্টা করেন এ ধরণের পাগলরা। আবার কেউ আছেন স্বার্থ যেখানে তিনি সেখানে। স্বার্থের হেরফের হলেই ক্ষেপে যান। তখন যা ইচ্ছা তা করেন। কেউ আবার ধান্ধার পাগল। দিনরাত তিনি ধান্ধার পেছনে ছুটেন। আসলে আমরা সবাই পাগল। কিন্তু কে কোন ধরণের পাগল সেটাই হলো বিষয়। এ কারণেই হয়তো কবি লিখেছেন-পাগল পাগল মানুষগুলো/ পাগল সারা দুনিয়া।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর