মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহায় আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় পশু জবাই দেয়া চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাঁদপুরের মানুষ। ছিল না কোন চামড়া ক্রয়ের মৌসুমী ব্যবসায়ী। সারা দিন পশুর চামড়া পড়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তার পাশে। পরে বিকেলে পড়ে থাকা চামড়া গুলো শহরের বিভিন্ন মাদ্রাসাও এতিমখানায় চামড়া দান করে দেয়া হয়। মাদ্রাসা ও এতিম খানার চামড়াগুলো সংগ্রহ করে রাতে স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয় নাম মাত্র মূল্যে। ঈদের দিন শহরের পাড়া মহল্লায় গিয়ে দেখা যায়, কোরবানি শেষে চামড়া রাস্তার পাশে যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে। দেখা যায়নি চামড়া ক্রয় করতে আসা কোন মৌসুমী ব্যবসায়ীদের। তাই বাধ্য হয়ে কোরবানির পশুর চামড়াগুলো স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিম খানায় দান করে দেয়।
এদিকে, চামড়াগুলো পেয়ে এতিম খানার কমিটি রাতেই চামড়াগুলো স্থানীয় ট্যানারিতে বিক্রি করে দিয়েছে নাম মাত্র মূল্যে। আর চামড়া বিক্রির টাকা মাদ্রাসা ও এতিম খানার এতিমদের খরচের জন্য রাখা হয়। কোড়ালিায়ার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর কোরবানি দিয়ে চামড়া বিক্রি করে গরিবদের দেই। আর এবার কোরবানি দিয়ে চামড়া বিক্রি করতে পারি নাই। কোন লোককে চামড়া কিনতে আসতে দেখি নাই। তাই বাধ্য হয়েই সন্ধ্যায় আমাদের এলাকার এতিম খানায় খবর দিলে হুজর এসে চামড়া নিয়ে যায়। পশু কোরবানি দেয়া আদালত পাড়ার মোঃ আলমগীর বলেন, আল্লাহর সন্তুুষ্টি লাভের জন্য কোরবানি দিয়েছি। এবার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী দেখা যায় নি। পরবতীতে আমরা চামড়া এতিম খানায় দান করে দিয়েছি। চাঁদপুরে চামড়া বিক্রি করতে আসা রামপুরের আব্দুল হামিদ বলেন, খালের (চামড়া) দাম নাই। আমি যে গাড়ি ভাড়া দিয়ে আনছি গাড়ি ভাড়ার দামই কয় না। চাঁদপুর রেলওয়ে দারুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসার কমিটির একজন সদস্য জানান, তারা ১৪০ টি চামড়া পেয়েছেন। রাতেই ছোট-বড় পশুর চামড়াগুলো গড়ে ৪৬০ টাকা করে বিক্রি করে এতিম খানার ফান্ডে রেখে দেয়া হয়েছে এতিমদের জন্য।