× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনায় জুলাই মাসে রেমিটেন্সে রেকর্ড

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) আগস্ট ৩, ২০২০, সোমবার, ৮:০৩ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে প্রত্যাশা ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোট ২৬০ কোটি (২.৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে এত বেশি রেমিটেন্স আগে কখনই আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

রেমিটেন্সের এই গতি বাড়ার পেছনে হুন্ডি বন্ধ হওয়াও একটি কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। আর গত জুন মাসের চেয়ে বেশি এসেছে ৪২ শতাংশ।

এর আগে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল গত জুন মাসে ১৮৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার। আর গত বছরের জুলাই এসেছিল ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।

সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ৩০শে জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা।

এই অঙ্ক আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন রেমিটেন্স এসেছিল।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল আরও বেশি; ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, “জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে জুলাই মাসে বেশি রেমিটেন্স আসবে, সেটা আগেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল। তবে এত আসবে, কেউ কল্পনা করেনি। সত্যিই অবিশ্বাস্য!

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, “ঈদকে কেন্দ্র করে জুলাই মাসে বেশি রেমিটেন্স আসবে, এটা প্রত্যাশিত ছিল। তবে, আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি আসবে, এটা কারও ধারণার মধ্যে ছিল না। সত্যিই সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন আমাদের প্রবাসীরা।

এদিকে রেমিটেন্সের গতি ধরে রাখতে গত অর্থ বছরে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল সরকার। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরেও এই ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। সেটাও রেমিটেন্স বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়, কেননা বৈধ পথে অর্থ পাঠালেই কেবল এই প্রণোদনা পাওয়া যাচ্ছে।

জানা গেছে, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স। দেশের জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
এবার করোনাভাইরাস মহামারিতে মার্চ থেকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ওলটপালট হয়ে যাওয়ায় রেমিটেন্সও কমে গিয়েছিল। কিন্তু এপ্রিল থেকে রেমিটেন্সে ঊর্ধগতির ধারা চলছে।

রিজার্ভ ৩৭.৩ বিলিয়ন ডলার
রেমিটেন্সের উপর ভর করে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থান করছে। সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর