জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। টিভি নাটকের পাশাপাশি কাজ করেছেন বেশকিছু চলচ্চিত্রেও। এদিকে ঈদ মানেই চ্যানেলে চ্যানেলে মোশাররফ করিমের নাটক। তবে এবার চিত্র কিছুটা ভিন্ন। করোনা ভাইরাসের কারণে চারমাসই ঘরবন্দি থেকেছেন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করলেও মনের দিক থেকে মোটেও স্বস্তি পাননি মোশাররফ করিম। আগের মতো নেই শুটিং সেট। কাজের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে বিস্তর।
সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন এ অভিনেতা। মোশররফ করিম বলেন, চেয়েছিলাম নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় কাজ করবো। কিন্তু শুটিংয়ে গিয়ে দেখি, আমার চিরচেনা কাজের ক্ষেত্র বিস্তর বদলে গেছে। একটি ইউনিটে বিভিন্ন জায়গার মানুষ এসে শুটিং সেটে এক হয়। এই যে স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়, মেকআপ রুমে নিজেকে একটু সময় দেওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, এসব মন থেকে হয়ে উঠছিল না। একটি ইউনিটে সবাই মাস্ক পরে আছে। হাতে গ্লাভস, প্রোডাকশন বয় ছেলেটার হাতে স্যানিটাইজারের বোতল। একটি দৃশ্য ধারণ শেষ করে অন্য একটি রুমে একা বসে থাকা, বদলে যাওয়া এই পরিবেশ আমার মনে ভীষণ প্রভাব ফেলছে। মোশাররফ করিম সর্বশেষ যে নাটকে অভিনয় করেছেন সেটির শুটিং তার নিজ বাসাতেই হয়েছে। নাটকটির নাম ‘উইশ’। গত চারমাস থেকেই ঘরবন্দি জনপ্রিয় এ অভিনেতা। এ সময়টাতে ছেলে রায়ানের সঙ্গে কেটেছে। সঙ্গে পড়াশোনা, শরীর চর্চা এসব তো ছিলই। এই বন্দি জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে মোশাররফ করিম বলেন, কত বছর এভাবে সময় কাটাই না, তার হিসাব নেই। অন্য বছরগুলোয় ঈদের কয়েক মাস আগে থেকে শুটিং হাউসে পড়ে থাকতাম। চলত মাসজুড়ে ঈদের নাটকের কাজ। এই সব ব্যস্ততা আনন্দ দিত। লম্বা সময়ে ঘরে থাকার উপলব্ধি প্রসঙ্গে মোশাররফ আরো বলেন, নানান ব্যস্ততার কারণে আমরা আসলে নিজেদের দিকে তাকানোর সময় পাই না। আমার বড় উপলদ্ধি হলো আমরা আসলে কেউ না। পার্থিব জীবনে আমরা অনেক কিছু সাজাই, গোছাই, জীবনকে বিস্তৃত করি। কিন্তু এগুলো কিছু না। সবই আল্লাহুর ইচ্ছা।