× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আগামী মাসে বিপুল পরিমাণ টিকা উৎপাদনে যাওয়ার ঘোষণা রাশিয়ার

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) আগস্ট ৪, ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:২৪ অপরাহ্ন

রাশিয়া সোমবার বলেছে, তারা আগামী মাসেই করোনা ভাইরাসের টিকা বিপুল আকারে উৎপাদনে যাচ্ছে। আগামী বছরে প্রতি মাসে তা উৎপাদন করা হবে কয়েক কোটি ডোজ। কর্মকর্তারা বলেছেন, বেশ কিছু টিকার প্রোটোটাইপ এবং একটি পরীক্ষিত টিকা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে রাশিয়া। এই টিকা তৈরি করেছে মস্কোতে অবস্থিত গ্যামালিয়া ইনস্টিটিউট। এটি রাষ্ট্রীয় নিবন্ধনের পথে। বার্তা সংস্থা তাস’কে শিল্পমন্ত্রী ডেনিস ম্যানতুরোভ বলেছেন, সেপ্টেম্বর থেকেই আমরা ব্যাপক হারে এই টিকার উৎপাদন শুরু করবো। এক মাসে আমরা কয়েক লাখ ডোজ টিকা উৎপাদনে সক্ষম হবো। আগামী বছরে তা কয়েক কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করা হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে এখন শতাধিক করোনার টিকা নিয়ে গবেষণা চলছে। তার মধ্যে কয়েকটি মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এগুলোর আপডেট তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে বিশ্বকে। এ বিষয়ে তারা অবহিত করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। কিন্তু বাকি বিশ্বকে তুরুপের মাস দেখিয়ে নিজেই বিশ্বে করোনা টিকা আবিষ্কারে এক নম্বর দেশ হতে চাইছে রাশিয়া। তারা স্পুটনিক স্যাটেলাইট সর্বপ্রথম মহাকাশে পাঠিয়ে ‘যুক্তরাষ্ট্রকে বিস্মিত’ করে দিয়েছিল। এবার করোনার টিকা আবিস্কার করে তেমন বিস্ময় সৃষ্টি করতে চায়।

রাশিয়ায় করোনা টিকার পরীক্ষায় অর্থ সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)। এর প্রধান বলেছেন, ‘১০ দিনের মধ্যে’ এই ভাইরাসের টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা করেন। আরডিআইএফ প্রধান কিরিল দমিত্রিয়েভ টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে বলেছেন, যদি এটা ১০ দিনের মধ্যে ঘটে, আমরা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে সামনে এগিয়ে যাব, এমন নয়। অন্য অনেক দেশের চেয়েও এগিয়ে যাব। আমাদের টিকা হবে বিশ্বে প্রথম নিবন্ধিত করোনার টিকা। সাইবেরিয়াভিত্তিক ভেকটর ল্যাব উদ্ভাবিত আরেকটি টিকা বর্তমানে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় রয়েছে। আরো দুটি টিকা পরবর্তী দুই মাসে মানুষের ওপর পরীক্ষা শুরু করবে বলে শনিবার জানিয়েছেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো।

গ্যামালিয়া উদ্ভাবিত টিকা হলো তথাকথিত ভাইরাল ভেক্টর টিকা। এর অর্থ হলো, এটি ডিএনএ’কে এনকোডিং করে প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিতে কোষের ভিতর অন্য আরেকটি ভাইরাসকে কাজে খাটায়। গ্যামালিয়ার টিকা তৈরি হয়েছে অ্যাডেনোভাইরাসের ওপর ভিত্তি করে।

কয়েক মাস আগে গবেষক ও এর পরিচালক প্রোটোটাইপ টিকা নিজেদের ওপর প্রয়োগ করেন। এর ফলে রাষ্ট্র পরিচালিত গ্যামালিয়া ইনস্টিটিউট কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে। ওদিকে মেমিনিকোভ রিসার্স ইনস্টিটিউট অব ভ্যাক্সিনস এন্ড সেরার প্রধান ল্যাবরেটরি কর্মকর্তা ভিতালি জেরেভ বলেছেন, খুব বেশি তাড়াহুড়ো করে এই টিকা নিবন্ধিত করা হচ্ছে। আমি মনে করি যে টিকা যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হয় নি, তা নিবন্ধিত হওয়া উচিত নয়। তা সেটা যে দেশের ক্ষেত্রেই হোক না কেন। তাই এই টিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব। আপনার কাছে যেকোনো জিনিস থাকতে পারে। কিন্তু তা কিনছে কে?
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর