নভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) উৎপত্তি নিয়ে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে চীনের উহানের বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তকারীরা। সংস্থাটির এক মুখপাত্র মঙ্গলবার জানান, ভাইরাসটির উৎপত্তি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ‘ব্যাপক আলোচনা’ হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে, প্রাণীস্বাস্থ্য গবেষণাসহ নানা বিষয়। নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরপরই উহানের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার বন্ধ করে দেয় চীন। অনেকের মতে, ওই বাজার থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, খুব সম্ভবত ভাইরাসটি বাদুর থেকে ছড়িয়েছে। সংক্রমণের পথে অন্য একটি প্রাণী ‘পোষকের’ মাধ্যমে এটি মানুষের দেহে প্রবেশ করে থাকতে পারে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, গত মাসে নভেল করোনা ভাইরাস বা সারস-কভ-২ এর উৎপত্তি নিয়ে উৎপত্তি নিয়ে তদন্ত করতে চীনে গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তকারী টিম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ের মঙ্গলবার বলেন, তদন্তকারী টিমের সঙ্গে চীনের ভাইরোলজিস্ট ও বিজ্ঞানীদের ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। তদন্তকারী টিম চীনা পক্ষের কাছ থেকে রোগতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা, জীবতত্ত্বিক ও জেনেটিক বিশ্লেষণ এবং প্রাণীস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা নিয়ে আপডেট জেনেছে।
রয়টার্স জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তটির ফলাফলের অপেক্ষা করছে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী ও সরকারগুলো। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে আগ্রহ বেশি যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই তদন্ত শুরুর জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, চীনের অবহেলার কারণেই ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ট্রাম্প ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে অভিযোগ এনেছিলেন, ভাইরাসটি চীনের এক ল্যাবরেটরি থেকেই ছড়িয়েছে। যদিও নিজেদের অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেননি তারা। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে ওয়াশিংটন। সংস্থাটিকে চীন-কেন্দ্রীক বলে আখ্যা দিয়েছে তারা। একইসঙ্গে মহামারিটি সামলাতে ব্যর্থতার দায় দিয়ে সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিতে নির্দেশ জারি করেছেন ট্রাম্প। আগামী বছর এ নির্দেশ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।