× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ২০

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
৫ আগস্ট ২০২০, বুধবার

সিদ্ধিরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুটি গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ আহত হয়েছে। এ সময় উভয় গ্রুপের সন্ত্রাসীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও ডাক চিৎকারে রাতের নীরবতা ভেঙে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাতে নাসিকের সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ডের আইলপাড়া সুমিলপাড়া এলাকায়। বর্তমানে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে গত সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহাবুব বাদী হয়ে উভয় গ্রুপের ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০০ থেকে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধাদানের অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলায় আটক ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিরাজ মণ্ডলের সহযোগী কিশোর গ্যাং লিডার শাকিল গ্রুপের সঙ্গে বর্তমান কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতির লোক হিসেবে পরিচিত পানি আকতার গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গত রোববার সন্ধ্যা রাতে শাকিলের সহযোগী আলী ও আবুল পানি আকতার গ্রুপের আসাদুলের সঙ্গে সিগারেট ধরানো নিয়ে তর্কে জড়ায়। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তারা আসাদুলের দোকানে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ভক্তভোগীরা কাউন্সিলর মতিউর রহমানের কার্যালয়ে গিয়ে বিচার প্রার্থী হয়। পরে মতি দুই পক্ষকে ডেকে ঘটনার মীমাংসায় বসে। কিন্তু রাত ১০টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা এসে শাকিলের পক্ষে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে কাউন্সিলর মতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বিচারের মাঝেই শাকিলের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলের কার্যালয়ে ঢুকে ফের হামলা চালায়। শাকিল এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। তার সঙ্গে যোগ দেয় তার সহযোগী আলী, আবুল, নুরা, সেন্টু, রুহুল গং। তাদের হামলায় আরিফ, আসাদুল, বেগম, আহসানউল্লাহ, আসিফ, হৃদয়, সবুজ, ইবরাহিম, রাসেলসহ আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় পানি আকতার গ্রুপ পাল্টা হামলা চালালে উভয়ের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। চাপাতি, হকিস্টিক, রামদা, লোহার রড নিয়ে একে ওপরের ওপর হামলা চালায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এই সময়ের সংঘর্ষে আইনুল, সোহেল, কুট্টি, আমিরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। গুরুতর আহতদের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের সাধারণ চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল মণ্ডলের বড় ভাই মজিবুর রহমান মণ্ডলসহ ৬ জনকে আটক করে।
৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মণ্ডল জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি বিচার সালিশি করার জন্য উভয়পক্ষকে তার অফিসে নিয়ে যায়। ওই অফিসেই তার লোকজন তার উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
নাসিক প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমান মতি জানান, সিগারেটে আগুন ধরানোকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে আমার অফিসে এনে বিচার সালিশি করার সময় সিরাজ মণ্ডলের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। পরে আমি পুলিশ ডেকে এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মণ্ডলের ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মজিবুর রহমান মণ্ডলসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহাবুব বাদী হয়ে উভয় গ্রুপের ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০০ থেকে আড়াই’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর