× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রীমঙ্গলে গ্রামাঞ্চলে পুঁতে ফেলা হয়েছে কোরবানির পশুর চামড়া

বাংলারজমিন

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
৫ আগস্ট ২০২০, বুধবার

 মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের গ্রাম এলাকায় কোরবানির পশুর চামড়া কোনো ফড়িয়া কিনতে না আসায় বাধ্য হয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের প্রায় সর্বত্রই একই তথ্য পাওয়া গেছে। ইসলামের অনুশাসন অনুযায়ী যুগ যুগ ধরে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির টাকা সাধারণত গরিব এতিম মিসকিনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। অথচ এবারের বকরা ঈদে শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় কোনো কোনো কোরবানির পশুর চামড়া ৪০-৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি করতে পারলেও, উপজেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ কোরবানির পশুর চামড়া কেউই বিক্রি করতে পারেননি। এমনকি কোরবানির ছাগলের চামড়ার বেলায়ও একই অবস্থা দেখা গেছে।  উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম লইয়ারকুল গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী দুলাল মিয়া জানান, ‘৭০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি একটি কোরবানির পশু ক্রয় করেছিলেন। ঈদের দিনে পশুটি কোরবানি দেয়ার পর কেউ আর চামড়া কিনতে আসেনি। অপেক্ষার পর ওইদিন সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে পুঁতে রাখেন।’
একই গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুরের ৫০ হাজার টাকার গরুর চামড়াও বিক্রি করতে পারেননি। তিনিও মাটিতে পুঁতে রাখেন।
ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ৫৫ হাজার টাকা দামের গরু, ইছুব উল্যার ৫০ হাজার টাকার গরুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাটিতে পুঁতে রাখেন। পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা নিউ ইয়র্ক প্রবাসী মো. মন্তাজ আলী ও প্রবাসে বসবাসরত তার পরিবারের সদস্যরা মিলে ঈদের দিন তিন লাখ টাকা দামে দুটি গরু ও পনেরও হাজার টাকা দামের দুটি ছাগল কোরবানি দেন। অথচ ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ পশুর চামড়া কিনতে না আসায় পাশের বাড়ির লোকদের দিয়ে মাটিতে চাপা দেন। একই গ্রামের ব্যবসায়ী কাজী গোলাম কিবরিয়া জুয়েল জানান, তিনি ৬৫ হাজার টাকার একটি গরু ক্রয় করে কোরবানি দেন। অথচ সন্ধ্যা পর্যন্ত কারো কাছে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে উপায়ান্তর না দেখে মাটিচাপা দেন।
শহরের সিন্দুর খান সড়কের বাসিন্দা কলামিস্ট মাওলানা এহসান বিন মুজাহির জানান, ‘৪০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের কোরবানির পশুর চামড়া শহর এলাকায় ৪০ থেকে ৬০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। আর ছাগলের চামড়া পানিতে ফেলে অথবা গর্তে পুঁতে রাখে। মাদ্রাসার চামড়াগুলো ৭০টাকা দরে বিক্রি করেছে। তিনি বলেন, ‘সরকার ইচ্ছে করলে ভর্তুকি দিয়ে চামড়া কিনতে পারতো। গরিবের হকটা দিতে পারতো।’ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রুহুল আমিন জানিয়েছেন, এবারের ঈদে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ মোট ৮ হাজার ৬০৮টি পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। এবার গত বছরের চেয়েও অনেক কম দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। অনেক এলাকায় পশুর চামড়া বিক্রিও করতে পারেনি। এ তথ্য আমাদের কাছে থাকলেও আমাদের কিছু করার নেই। এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর