অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ভারতের দুই অঙ্গরাজ্যের কাজিয়া এখন তুঙ্গে। মুম্বাই পুলিশের দাবি সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন। পাটনা পুলিশের দাবি, সুশান্ত সিং রাজপুতকে খুন করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মনে করেন মুম্বাই পুলিশের তদন্ত নিরপেক্ষ এবং সম্পূর্ণ। নীতিশ কুমার মনে করেন, মুম্বাই পুলিশ যথেষ্ট নিরপেক্ষতা নিয়ে কাজ করতে পারেনি। তদন্তও সম্পূর্ণ নয়। মঙ্গলবারই বিহার বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপিত হয় এবং পাটনা পুলিশের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়। মঙ্গলবারই বিহার পুলিশের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানান হয় যে সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কে কে সিং এর আবেদন কে মর্যাদা দিয়ে যেন তদন্ত সি বি আই এর হাতে দেওয়া হয়।
সুশান্তের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং অভিযোগ করেছেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের সম্পত্তি ও টাকাপয়সা হাতিয়ে নিতে পরিবারের সাহায্য নিয়ে সুশান্তকে খুন করেছে। পাটনা পুলিশ ভূমিপুত্র সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ব্যাপারে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্তের কাজে পাটনা পুলিশের এক অফিসার মুম্বাই পৌঁছালে তাঁকে অনাবশ্যকভাবে কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানোর বিষয়টিরও তীব্র সমালোচনা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বলিউড এর একটি শক্তিশালী লবিকে বাঁচানোর জন্যে তিনি তদন্ত প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দিয়েছেন এবং পাটনা পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছেন। উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে, যিনি রাজ্যের মন্ত্রীও বটে, বলেছেন, এই তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ সম্পূর্ম কাল্পনিক। প্রশ্ন উঠে গেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তাঁর ঘর থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ডায়েরি লোপাট হয়ে যাওয়ার। সুশান্ত এর মৃত্যুর পর মুম্বাই পুলিশ কোন এফ আই আর না করা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দুই রাজ্যের সংঘাতের মাঝে একমাত্র সি বি আই তদন্তই হয়তো পারে সব প্রশ্নের জবাব দিতে।