বৈরুতের এক গুদামে মজুদ করা ছিল বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। দু’এক কেজি নয়, পুরো ২৭৫০ টন। অনিরাপদ অবস্থায় তা রাখা হয়েছিল। এ তথ্য আর কারো নয়, লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আওনের। দৃশ্যত ওই গুদাম থেকেই বৈরুতে ‘পারমাণবিক বোমা’ হামলার মতো বিস্ফোরণ ঘটেছে। আগুনের সংস্পর্শে এলে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটে আগুন ধরে যায়। এ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন তৈরি হয় বিষাক্ত গ্যাস।
এর মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন অক্সাইড ও অ্যামোনিয়া গ্যাস। এত বিষাক্ত এবং বিস্ফোরক পদার্থের এত বিশাল মজুদ কেন অনিরাপদ অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল- এ নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর এক্ষেত্রে কি দায়িত্ব পালন করেছে তাও স্পষ্ট নয়। তবে বিস্ফোরণ নিয়ে তদন্ত চলছে। এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কিভাবে, কোথা থেকে ওই বিস্ফোরণের সূত্রপাত। তবে প্রেসিডেন্ট আওনের কথায় এ ইঙ্গিত মেলে যে, ওই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের গুদাম থেকেই বিস্ফোরণের সূত্রপাত। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বহুবিধ ব্যবহার আছে। তবে কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক স্যার তৈরিতে এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া এটি বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট অত্যন্ত দাহ্য বলে এর নিরাপদ মজুদের বিষয়ে কঠোর নিয়মকানুন আছে। এর মধ্যে যে স্থানে এই রাসায়নিক পদার্থ রাখা হবে তা আগুন থেকে পুরোপুরি নিরাপদ থাকতে হবে। আগুন যাতে একে স্পর্শ করতে না পারে সে জন্য এর সংরক্ষণাগার হতে হবে একদন ‘ফায়ার-প্রুফ’।