× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলোচিত পি কে হালদার‌কে দুদকে তলব

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) আগস্ট ৫, ২০২০, বুধবার, ১:৩৬ পূর্বাহ্ন

আ‌লো‌চিত পি‌কে হালদার‌কে তলব ক‌রে‌ছে দুদক। ‌তি‌নি রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার)।
আগামী ১০ই আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক নোটিশে তাকেসহ আ‌রো পাচজন‌কে ওইদিন হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ারের পাঠানো নোটিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পি কে হালদারসহ তলব করা ব্যক্তিরা হলেন- শ'ওয়ালেস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক রেজাউর রহমান, মিজানুর রহমান ও সৈয়দা রুহি গজনভী।

অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদার ওই প্রতিষ্ঠানসহ পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।এরই মধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ওই এজাহারে প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার লেনদেনের বিষয়ে তথ্য ছিল।

দুদক বলছে, কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, কর ফাঁকির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন প্রশান্ত কুমার হালদার। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করার জন্য অনুরোধ করে। এর ধারাবাহিকতায় পি কে হালদারের অর্থ লেনদেন নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের বিষয়ে অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, পি কে হালদার ও তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, পি কে হালদারের হিসাবে ২৪০ কোটি টাকা এবং তার মা লীলাবতী হালদারের হিসাবে জমা হয় ১৬০ কোটি টাকা। তবে এসব হিসাবে এখন জমা আছে মাত্র ১০ কোটি টাকার কম। অন্যদিকে পি কে হালদার এক ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ২ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বের করে নিয়েছেন। এসব টাকা দিয়েই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা কেনা হয়। তবে ঋণ নেয়া পুরো টাকার হদিস মিলছে না। একই অভিযোগে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ই নভেম্বর তাদের তলব করেছিল দুদক। যদিও অনেক আগেই দেশ থেকে পালিয়েছেন পি কে হালদার। ক্যাসিনো বিরোধী শুদ্ধি অভিযানের পরপরই তার নাম উঠে আসে। গত ৩রা অক্টোবর তার বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তারপরও দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন তিনি। এই চক্রের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর