× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাতাসী বেগমের জীবনে ঝড়ো বাতাস, নদী বাড়ি গিলেছে ৮ বার

অনলাইন

পিয়াস সরকার, বালাসীঘাট গাইবান্ধা থেকে
(৩ বছর আগে) আগস্ট ৫, ২০২০, বুধবার, ২:৩৩ পূর্বাহ্ন

বাতাসী বেগমের বয়স ৯০ বছর। ৪ ছেলে। বিয়ে হয়েছিল ছোট্ট বয়সে। ছিলো উঠানওয়ালা বিশাল বাড়ি, গরু, ধানী জমি। সুখের সংসার ছিলো তার। হঠাৎ নদী গর্ভে বিলীন হয় তার স্বপ্ন। কঠোর পরিশ্রম করে গড়েছেন বাড়ি। ভেঙ্গেছে বারবার।
একবার দুই বার নয়, ৮ বার তার বাড়ি বিলীন হয়েছে নদী গর্ভে।

একে তো নদী ভাঙ্গন, তার ওপর প্রতি বছর বন্যা। দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়েছে তার। চলতে পারেন না। এক পা হাঁটলে থমকে যান বারবার। খাবারটাও জুটছে না কপালে। প্রায় দেড় মাস ধরে বাঁধে আশ্র‍য় নিয়ে সাহায্য পেয়েছেন মাত্র একবার। ৮ কেজি চাল। এদিয়ে সংসারের চলে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন।

বললেন, বাবারে নদীটাই হামার সোগ শ্যাষ করি দিছে। সোনার সংসার আচিল মোর। গরিব মানুষগুলা খাবার জন্যি হামার বাড়িত আচ্চিল (এসেছিল)। আর এখন হামরাই মানষের কাছে হাত পাতি বাহে।

স্বামীকেও হারিয়েছেন নদীতেই। তিনি জানান, একবার (সালটা মনে করতে পারলেন না) নদী ভাঙ্গা শুরু করেছে। সবাইকে তার স্বামী নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসেন। এরপর বাড়ির গরু আনতে গিয়ে নদীতে ডুবে মারা যান তার স্বামী।

এই কথা বলতেই হাসিমুখটায় মেঘাচ্ছন হয়ে যায় এই বৃদ্ধার। জানান, এই নদীই জীবনটা তছনছ করে দিয়েছে তার। কোনরকমে সংসার চলছিল। তার ছেলের পানের ব্যবসা আছে। করোনার কারণে সেই ব্যবসাতেও টান পরেছে। জুটছে না খাবার। না খেয়ে থাকাটাই যেন এখন নিয়ম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর