× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাগুরায় চামড়া ব্যবসায়ীরা বিপাকে দাম না পেয়ে হতাশ ক্রেতারা

বাংলারজমিন

মাগুরা প্রতিনিধি
৫ আগস্ট ২০২০, বুধবার

চামড়ার দাম না থাকায় বিপাকে পড়েছেন মাগুরার ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে চামড়ার উপযুক্ত দাম না পেয়ে হতাশ জেলার ক্রেতারা। জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে মাগুরা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চামড়া সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার চামড়ার দাম না থাকায় অনেক চামড়া ব্যবসায়ী চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকায় চামড়ার দাম কম থাকায় আমরা ভালো দাম পাচ্ছি না বরং যে দামে চামড়া কিনেছি তার অর্ধেক দামে চামড়া বিক্রি করতে হবে।
ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে শহরের নতুন বাজার চামড়ার গোডাউনে আসতে থাকে গরু, ছাগলের চামড়া। তবে বিক্রেতাদের গলায় হতাশার সুর। ভালো দাম না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। তবে প্রথম থেকেই চামড়া সংগ্রহে ব্যস্ত আড়তদাররা।
তবে সঠিক দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে বলে দাবি আড়তদারদের। ক্রেতারা বলছেন, ৩০ হাজার টাকার ছাগলের চামড়ার দাম মাত্র ১০ টাকা। তাও আবার কিনতে চাইছে না ব্যবসায়ীরা। শহরের দোয়ারপাড় এলাকায়  অবস্থিত এতিমখানার মওলানা মো. লিয়াকত আলী বলেন, এ বছর এতিমখানায় ১৫টি ছাগলের চামড়া পেয়েছি। কিন্তু চামড়ার দাম না থাকায় তা বিক্রি করে তেমন কোনো ভালো অর্থ হয়নি। মাগুরা দোয়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান আলী বলেন, আমি একটি গরু কিনেছি ২ লাখ  টাকা দিয়ে। কোরবানির পর সেই গরুর চামড়ার দাম পেয়েছি মাত্র ১৫০ টাকা। তিনি আরো বলেন, সরকার প্রতি বছর এই শিল্পকে নিয়ে অবহেলা করে আসছে। অবস্থা দেখে মনে হয়Ñ সরকার দরিদ্রদের হক নষ্ট করছে এবং দলের লোকদের বড়লোক বানাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের চামড়া শিল্প আর থাকবে না।
শহরের নতুন বাজার চামড়ার আড়তদার নিখিল কুমার দাস  বলেন, এ বছর আমরা গরুর চামড়া ৪শ’ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কিনেছি। সেক্ষেত্রে ছাগলের চামড়ার দাম আকার ও আকৃতি ভেদে ৫০ টাকা থেকে সর্বনি¤œ ৫টাকা পর্যন্ত কেনা হচ্ছে। তবে এ বছর চামড়ার দাম একটু কম।
মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সুফিয়ান বলেন, এ বছর মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বেশি। বিভিন্ন  মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে বেশি পরিমাণ চামড়া সংগ্রহ হয়ে থাকে। তবে এ বছর করোনার কারণে ঈদে পশু কোরবানি কম হয়েছে। দাম কম পাওয়ায় জেলার চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে হতাশা। তাছাড়া অন্যান্য উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চামড়ার উপযুক্ত দাম না পেয়ে অনেক ক্রেতা ক্ষোভে চামড়া ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছেন। কেউবা তার চামড়া মাদ্রাসা বা এতিমখানায় দান করেছেন।


 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর