ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাওলীবেড়া ইউনিয়নের মাইঝাইল গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে লতা আক্তার (২০) কে অমানুষিক নির্যাতনের পর বাড়ি ছাড়া করলো পাষণ্ড স্বামী। যৌতুক লোভী স্বামী হেলাল শেখ ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে সে এখন অনেকটাই বাকরুদ্ধ। খবর পেয়ে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে গত মঙ্গলবার সকালে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বেদম প্রহারে মেয়েটির একটি চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২ বছর আগে জেলার নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী বাঙ্গাল কান্দা গ্রামের রুস্তম শেখের ছেলে হেলাল শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে লতা আক্তারের বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই স্বামী হেলাল শেখের আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। প্রতিনিয়ত যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও পবিারের সদস্যরা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। স্বামী এক সময় স্বাভাবিক পথে ফিরে আসবে এই আশায় দিন গুনতে থাকে।
এরই মধ্যে জন্ম নেয় তাদের একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা কমাতো দূরের কথা পর্যায়ক্রমে তার প্রতি অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এদিকে মেয়ের সুখের আশায় লতার বাবা আতাউর রহমান যৌতুক লোভী হেলাল ও তার পরিবারের দাবি মেটাতে কয়েকবারই যৌতুকের বেশকিছু দাবি পরিশোধ করলেও একবারের জন্যও মন গলেনি। বরং নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। একপর্যায়ে গত সোমবার লতাকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে উদ্ধারের পর প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে গত মঙ্গলবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় লতার বাবা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।